ঝাড়খণ্ডে পাঁচ দফায় ভোটের ঘোষণা করেছে কমিশন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কী ফের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। নিশ্চিত নয় গেরুয়া শিবির। সৌজন্যে, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার হতাশাজনক ফলাফল। আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোট নিয়ে তাই সতর্ক অমিত শাহ জে পি নাড্ডারা। প্রচারে অভিনবত্ব ও টিকিট বিতরণে বিশেষ নজরদারি থাকবে দলের তরফে।
লোকসভা ভোটে ব্যাপক জয়। তারপর বিরোধী শিবিরের বেশ কয়েকজন বিধায়ক যোগ দিয়েছে পদ্ম শিবিরে। এতে হাত শক্ত হয়েছে সংগঠন। উৎসাহীত কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের জনপ্রিয়তাও কম নয়। ৮১ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১ আসন। তবুও, সংখ্য়াগরিষ্ঠ দল হিসাবে ঝাড়খণ্ড দখল নিয়ে প্রকাশ্যে হুঙ্কার নেই বিজেপি নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে, হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার
আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডেও ভোটের ফল অনেকটাই নির্ধারিত হয় জাতপাতের উপর। রঘুবর দাসের মতো অনাদিবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী করে পাঁচ বছর প্রশাসন চালিয়েছে বিজেপি। কৃষকদের জমি প্রতি চাষের অর্থিক সাহায়ক প্রকল্প জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। তবুও ফ্যাক্টর রাজ্যের রাজ্যের ২৬ শতাংশ আদিবাসী ভোট। তারা কী অনাদিবাসী নেতাকে ভোট দেবেন। ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। তবে, বিজেপি নেতাদের আশা কৃষক প্রকল্পের জন্যই এবার আদিবাসী ভোট বেশি পাবে দল। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু খ্রীষ্টান ও মুসলিমদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। মোট ভোটের প্রায় ২০ শতাংশ ভোটার তারাই। বেশ কয়েকটি আসনে তারাই নির্ণায়ক শক্তি।
আরও পড়ুন: যমের দুয়ারে কাঁটা পড়তেই নিরাপত্তা ফিরে পেলেন ‘দিদি’র কানন
এদিকে, লোকসভা ১৮টির মধ্যে ১২টিতে জয়ী হয় বিজেপি। কিন্তু, বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিত আলাদা। ঝাঁঝ বাড়চ্ছে কংগ্রেসের। তাদের জোট ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে। সদ্য দুই রাজ্যের ফলাফল দেখে হাত শিবির হালে পানি পেয়েছে। জাতীয় ইস্যুর চেয়ে তাদের প্রচারে উঠে আসবে স্থানীয় বিষয়। ফলে ঘর সামলে প্রতি আক্রমণে যেতে ঝাড়খণ্ডের ভোটের দায়িত্ব দলের প্রবীণ নেতা ওম মাথুরকে দিয়েছেন সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপির রণকৌশল আরও আঁটোসাটো করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যানের দিকে লক্ষ্য রাখলেও বিজেপির পথ সুগম নয়। প্রথম থেকেই এরাজ্যে একবারও নিজেদের ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারেনি গেরুয়া শিবির। গতবারও ম্যাজিক ফিগার ৪১ পার করতে হিমশিম খেতে হয় বিজেপিকে। পাঁচ বছর আগে বিজেপি একার জোরে ৩৭টি আসন পেয়েছিল। পরে, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের- ৫ বিধায়কের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ে তারা। আরও পরে বাবুলাল মারান্ডির দল বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সরকার পোক্ত হয়। ঝাড়খণ্ডের এক বিজেপি নেতার কথায় 'দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তা হবে বিরাট সাফল্য। সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন কর্মীরা।'
Read the full story in English