করোনা আবহে ভোট। কড়া কোভিডবিধি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মানছে কে? সে তো খাতায়-কলমে। শাসক-বিরোধী সব শিবিরের নিয়মভঙ্গের সেই ছবিই ধরা পড়েছে রবিবাসরীয় প্রচারে। অতিমারি আইন ভাঙায় এ দিন গ্রেফতার করা হয় পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, চন্দননগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সন্ধ্যা দেবী সহ বিজেপির একাধিক নেতাকে।
এদিন দুপুরে চন্দননগরের ২৬ নম্বর ওযার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছিলেন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী সন্ধ্যা দেবী, হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার, বিজেপির যুবমোর্চার জেলা সভাপতি সুরেশ সাউ সহ দলের বহু কর্মী সমর্থক। করোনা আবহে বিধি শিকেয় তুলে পদ্ম বাহিনীর প্রচারের খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বিজেপির প্রচারের বাধা দিতেই তর্ক জোড়েন বিধায়ক বিমান ঘোষ। সেই অতিমারি আইন বিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সহ বাকিদের গ্রফতার করে পুলিশ। চন্দননগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতদের। আধ ঘন্টা পর সকলকেই জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিয়ম ভেঙে শাসক দলের নেতারা প্রচার চালালেও তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেই অভিযোগ করেছেন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, 'পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। সর্বত্র করোনার নিয়ম ভেঙে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা প্রচার করছে। ওটা দেখেও না দেখার ভান করে পুলিশ। আর বিরোধী হলেই গ্রেফতার।'
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। এর আগেই চন্দননগরের ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী যথাক্রমে মাধবী বাগ সাঁতরা এবং আশুতোষ ঘোষের সমর্থনে করোনা বিধি উড়িয়ে প্রচারের অভিযোগ উঠেছিল পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের বিরুদ্ধে।
দলীয় বিধায়ক ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোভিডবিধি ভেঙে প্রচারের অভিযোগ ওঠায় কমিশন ও পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'কমিশন ও পুলিশ ঠিক করে নিয়েছে যে বিরোধী দলকে কোভিডবিধি দেখিয়ে প্রচার করতে দেবে না। এ রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন কার্যকর।'
এপ্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের সাংসদ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পদ্ম বাহিনীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'বিজেপির গোটাটাই গোলমেলে। ওরা কোনও কিছুর নিয়মই মানে না। আমি কমিশনের কাছে এইসব বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়াতে আবেদন করব।'
আরও পড়ুন- ঘুম কাড়ছে করোনা, ‘কমিশন বললেই বন্ধ সভা’, বললেন দিলীপ