পার্টি অফিস দখল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শ্যামনগর, জখম হলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বিজেপি সাংসদ এলাকায় পৌঁছলে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি পার্টি অফিস দখল করা নিয়ে সার্কাস মোড়ে বিজেপির অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বিজেপি কর্মীদের, এবং পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে অর্জুন সিংয়ের, এই অভিযোগও উঠেছে।
আরও পড়ুন: নিজের গড়েই রক্তাক্ত অর্জুন সিং, প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ ব্যারাকপুরে
ঠিক কী হয়েছিল?
সূত্রের খবর, শ্যামনগরের বিজেপি পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করেই অশান্তির সূচনা। লোকসভা ভোটের পর বাংলায় গেরুয়া হাওয়ার দাপটে বেশ কিছু পার্টি অফিসের দখল নেয় বিজেপি। কিন্তু শ্যামনগরের এই পার্টি অফিস পুনরায় তৃণমূল দখল করতে গেলেই ঝামেলায় জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। জানা যাচ্ছে, সেই ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় যান অর্জুন সিং এবং অভিযোগ, সেখানেই তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বিজেপির অবরোধ
এদিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ, পার্টি অফিস দখল করার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাইক, গাড়ি, পার্টি অফিসের চেয়ার, সব কিছুই ভাঙচুর করা হয় এবং সব দেখেও নির্বিকার থাকে পুলিশ, যদিও বিজেপির এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং তৃণমূল দ্বারা বিজেপির পার্টি অফিস দখলের প্রতিবাদে সার্কাস মোড় অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকেরা। সূত্রের খবর, পুলিশ এবং র্যাফ যৌথভাবে সেই অবরোধ তুলতে গেলে চরম অশান্তির আবহ তৈরি হয় গোটা এলাকায়। চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। সেই ইটের ঘায়ে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী এবং বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তবে সাংসদের অভিযোগ, ইটের ঘায়ে নয়, পুলিশের লাঠিচার্জের ফলেই মাথা ফেটে যায় তাঁর। সূত্রের আরও খবর, এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে পড়েন বেশ কিছু সাংবাদিকও।
প্রাথমিকভাবে আহত অর্জুন সিংকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাঁকে কলকাতার অ্যাপলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁকে দেখতে যাওয়ার কথা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় সিংয়ের। ইতিমধ্যে অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে "পরিকল্পিত আক্রমণের" সমালোচনা করে টুইট করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।