আদালতের নিষেধাজ্ঞা উঠতেই নিজের জেলায় পা রেখে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ শানালেন প্রাক্তন তৃণমূল তথা বর্তমানে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘চোর’ বলেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। একইসঙ্গে মমতার ভাইপোকে চ্যালেঞ্জের সুরে সৌমিত্র বলেছেন, ‘‘আমি বলছি তুমি চোর, তুমি আমার বিরুদ্ধে মামলা করো। আমি সব প্রমাণ করে দেব’’।
আরও পড়ুন: মমতার তোষণনীতিতেই বাংলার ক্ষতি: কেশরী নাথ ত্রিপাঠী
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদকে বিঁধে রবিবার বাঁকুড়ায় সৌমিত্র খাঁ আরও বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদিন একজনের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ টাকা করে নিয়ে কলকাতা যেত। তুমি বাঁকুড়া জেলা থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছ চাকরি দেওয়ার নাম করে’’। অভিষেককে আক্রমণ করতে গিয়ে এদিন তৃণমূলকেও এদিন একহাত নিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘এখন চোরেদের রাজত্ব। সব জায়গায় চুরি। কই আমার বাড়িতে তো কেউ ধর্না দেননি। কয়েকটি মিথ্যা মামলা করেছিল, পরে সেগুলো উঠে গিয়েছে’’। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলার সোনা-বিতর্ক প্রসঙ্গেও এদিন খোঁচা দিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, ‘‘কেন সোনা পাচার করছিল? কেন এত দুর্নীতি?’’
আরও পড়ুন: মমতা-সব্যসাচী মুখোমুখি সাক্ষাৎ! কী কথা হল দু’জনের?
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমিত্র খাঁ। দল ছাড়ার আগে তৃণমূলে তাঁকে কোণঠাসা করা হয়েছে বলে সরব হয়েছিলেন তিনি। এরপর বিজেপিতে যোগদানের পরই সৌমিত্রের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার জেরেই লোকসভা নির্বাচনের সময় বাঁকুড়া জেলায় সৌমিত্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এর জেরে উনিশের নির্বাচনের সময় এলাকায় প্রচারই করতে পারেননি সৌমিত্র। আদালতের নির্দেশে একদিন কেবল জেলায় গিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সৌমিত্র। তাঁর যাবতীয় নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সৌমিত্রের স্ত্রী সুজাতা। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে বিষ্ণুপুর থেকে জয়ী হন সৌমিত্র খাঁ। এরপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাও মিটে যাওয়ায় জেলায় ফেরেন তিনি। জেলায় ফিরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্রর এদিনের বিষ্ণুপুর সফরে সঙ্গী ছিলেন মুকুল রায়ও। মুকুলের উপস্থিতিতে অবিষেকের বিরুদ্ধে এমন ঝাঁঝালো অভিযোগ রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।