সিবিআই মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন সিবিআইয়ের ডিআইজি মণীশ কুমার। মণীশের সেই অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুলল বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপির তরফে বলা হয়, এ অভিযোগের আদৌ কোনও ভিত্তি আছে না কি পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা যাচাই করে দেখুক শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনে মণীশ সিনহা অভিযোগ করেন, রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপ করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কয়লা প্রতিমন্ত্রী হরিভাই পার্থিভাই চৌধুরি ও আইন সচিব সুরেশ চন্দ্রের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মণীশ।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র জি ভি এল নরসীমহা রাও বলেন, ‘‘বিষয়টি বিচারাধীন। নিয়মিত শুনানি করছে সুপ্রিম কোর্ট। তাছাড়া আদালতই বলেছে যে, এই অভিযোগ নিয়ে শুনানির জন্য কোনও তাড়াহুড়ো নই। সে জন্য রাজনৈতিকভাবে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’’ তিনি আরও বলেন যে, মণীশের বক্তব্যের কোনও ভিত্তি রয়েছে না কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা আদালত যাচাই করে দেখুক। তিনি এও বলেন যে, এ অভিযোগ যাচাই করার একমাত্র অধিকার রয়েছে আদালতেরই।
আরও পড়ুন, সিভিসিকে দেওয়া ভার্মার জবাব ফাঁস হওয়ায় মামলা মুলতুবির সিদ্ধান্ত অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্টের
এদিন নরসীমহা রাও আরও বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, যে সংস্থায় কেউ কাজ করছেন, সেই সংস্থাকেই টার্গেট করার মতো ঔদ্ধত্য দেখানো ঠিক নয়। যে কারও বিরুদ্ধেই আপনি অভিযোগ তুলতে পারেন, বক্তব্য পেশ করতে পারেন, প্রমাণ দেখাতে পারেন। কিন্তু সংস্থার সম্মানহানি করা ঠিক নয়। এটার মানে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা।’’
অন্যদিকে, যাঁদের দিকে মণীশ আঙুল তুলেছেন, তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে এ ব্যাপারে এখনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধের জেরে নাগপুরে বদলি করে দেওয়া হয় মণীশকে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মণীশ। প্রসঙ্গত, রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছিলেন মণীশ। একইসঙ্গে পিএনবি কেলেঙ্কারিরও তদন্তের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
Read the full story in English