বেশিরভাগ জেলাতেই বিজেপির মণ্ডল ও বুথ কমিটির ভোট সম্পন্ন। বাকি রয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। রাজ্যের বাকি জেলার সংগঠনের সঙ্গে কেন এই বৈপরত্য শহরের। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের জবাব, 'যেসব অঞ্চলে সংখ্যালঘু ভোট বেশি সেখানে দল সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। তাই সাংগঠিক নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়ছে।'
১৯শের লোকসভায় ব্যাপক ফল করেছে বিজেপি। বেড়েছে ভোটের শতাংশ। অন্যন্য রাজনৈতিক দলের কর্মী ও নেতৃত্ব ক্রমশ পদ্মমুখী হয়েছে। ফলে কলেবরেও বেড়ছে দল। এই অবস্থায় তাই ঘটা করেই সাংগঠনিক নির্বাচন হচ্ছে রাজ্য বিজেপিতে।
আরও পড়ুন: পুজো মিটতেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে ঝাঁপাচ্ছে মমতা বাহিনী
কলকাতার দুটি আসনের একটিও পায়নি বিজেপি। একই অবস্থা মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ও বীরভূমের ক্ষেত্রে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে মুর্শিদাবাদ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা। সীমান্ত জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বিপুল পরিমান মুসলিম মানুষের বসবাস। তাই এই দুই জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও পিছিয়ে গেরুয়া শিবির। একই অবস্থা লাল মাটির জেলা বীরভূমেও। যার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে ওইসব জেলার বিজেপি সংগঠনেও। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় নির্বাচন হবে। বুথ কমিটি তৈরি করা না গেলে পুরভোটে ভাল ফলের আশা প্রায় নেই বললেই চলে। মঙ্গলবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে বলে জানান দিলীপ ঘোষ। সাংগঠনিকভাবে যেসব জায়গায় বিজেপি দুর্বল সেখানে প্রচার ও কেন্দ্রীয় সরকারি নানা প্রকল্পের প্রচারে জোর দেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আটক ফারুক আবদুল্লার মেয়ে-বোন
দিলীপবাবু জানান, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ৭৯ হাজার বুথ কমিটি রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬৪ হাজার বুথে সাংগঠনিক নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে জেলার বুথই বেশি। আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত হবে দলের মণ্ডল নির্বাচন।
এছাড়া, মহাত্মা গান্ধীর দেড়শতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রে ‘গান্ধী সংকল্প যাত্রার’ সূচনা করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। জানা যাচ্ছে, ১৫ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১০ দিন ব্যাপী এই যাত্রা চলবে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, এই যাত্রার মাধ্যমেই রাজ্যের মানুষের কাছে ‘জাতির জনক’-এর আদর্শ পৌঁছে দিতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি। এই যাত্রা নিয়েও এদিন আলোচনা হয় দলীয় বৈঠকে।