সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিজেপিকে বিঁধতে নয়া আইনকেই হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। চাপ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। তাই পাল্টা চাপের কৌশল হিসাবে সিএএ ঘিরে আক্রমণাত্মক পদ্ম বাহিনী। পরিস্থিতি বাগে আনতে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্নপ্রান্তের মানুষের বাড়ির দরজায় দরজায় পৌঁছে দলের নেতা, কর্মীরা। এতে প্রায় ৩ কোটি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। দেশজুড়ে করা হবে হাজারেরও বেশি পদযাত্রা। এই পদযাত্রায় হাজির করানো হবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপিড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা শরণার্থীদের। এছাড়া ২৫০ শহরে দলের তরফে করা হবে বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক। এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।
আরও পড়ুন: ‘আমার বাপ-ঠাকুরদা বাংলাদেশের, বিজেপির ক্ষমতা থাকলে আমাকে বাংলাদেশে পাঠাক’
সিএএ ঘিরে প্রতিবাদ জোড়াল হচ্ছে। এর পিছনে কংগ্রেস, বাম তৃণমূলের মতো দলগুলির উস্কানি ও প্রচার রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় শাসক দল। এতেই ঘণা ও হিংসা মারাত্মক আকার নিচ্ছে। যা ঠেকাতেই এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। গেরুয়া শিবির মনে করছে আগামী কয়েকদিন লাগাতার সিএএ প্রচার করলে নয়া আইন সম্পর্কে মানুষকে যেমন স্বচ্ছ ধারনা দেওয়া যাবে, তেমনই বিরোধী দলগুলোর ক্রমাগত মিথ্যা প্রচারের মুখোশও জনতার সামনে খুলে দেওয়া যাবে।
শনিবার বিজেপির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেখানেই নাগরিত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেসের দ্বিচারিতার কথা তুলে ধরেন তিনি। দেশের প্রাচীনতম দলটি যে কায়দায় সিএএ-এর প্রতিবাদ করছেন তার সঙ্গে পাকিস্তানের দাবির সাদৃশ্যতার অভিযোগ করেছেন নাড্ডা। ২০০৩ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদবানীর কাছে বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য নিয়ম শিথিল করার আবেদন করেছিলেন। পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য কংগ্রেস থাকার ব্যবস্থা করেলেও নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ বিজেপির। শরণার্থীদের বহু দিনের দাবি মোদী সরকার পূরণের চেষ্টা করলেও তার কেন বিরোধীতা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: এনআরসি হলে ছত্তিশগড়ের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না: বাঘেল
নেহেরু লিয়াকত চুক্তির পরেও পাকিস্তান ও বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুরা কীভাবে সংখ্যায় কমে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিজেপির তরফে। পদ্ম শিবিরের দাবি ভারতে সংখ্যালঘুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এনআরসি ও সিএএকে সম্পূর্ণ পৃথক বলেও প্রচারে তুলে ধরবে বিজেপি।
তবে, সিএএ-এর সপক্ষে প্রচারের সিদ্ধান্ত হলেও এনআরসি নিয়ে আপাতত নীবর থাকছে বিজেপি। সরকারের তরফেও টু শব্দটি করা হচ্ছে না। মেপে পদক্ষেপ করতে চাইচেন মোদী-শাহ জুটি।
Read the full story in English