জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন আগেই। এবার দেশের এই অশান্ত আবহে ফের একবার মুখ খুললেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। সাফ জানিয়ে দেন, যে তাঁর রাজ্যে অর্ধেকেরও বেশি জনগণ নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন না কারণ তাঁদের কাছে জমি এবং জমি সংক্রান্ত দলিল কোনওটিই নেই। সংবাদসংস্থা পিটিআই বাঘেলকে উধৃত করে জানায়, “ছত্তিশগড়ে প্রায় ২.৮০ কোটি মানুষ রয়েছেন। তাঁদের অর্ধেকেরও বেশি লোক তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন না। কারণ জমি কিংবা জমি সংক্রান্ত কোনও নথি নেই। তাঁদের পূর্বপুরুষরা ছিল নিরক্ষর। বেশিরভাগই অন্য গ্রাম থেকে এ রাজ্যে এসেছিল কাজের জন্য। কীভাবে তাঁরা ৫০ থেকে ১০০ বছরের পুরোনো নথি নিয়ে আসবেন?”
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে ভূপেশ বাঘেলের মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্য্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। ১৯০৬ সালে ব্রিটিশরা আফ্রিকায় সনাক্তকরণের যে প্রক্রিয়া চালিয়েছিল তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী, সেই মর্মেই এনআরসি বিরোধিতা করবেন তিনি, এমনটাই জানালেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল উত্তরপ্রদেশের রামপুর, হিংসার শিকার পুলিশ-জনতা
তবে বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তা সব রাজ্যে বলবৎ হলে বিমুদ্রাকরণের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে দেশের সব নাগরিকদের। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে ভূপেশ বাঘেল বলেন, “এটি মানুষের উপর কেবল একটি অপ্রয়োজনীয় বোঝা। আমাদের দেশে অনুপ্রবেশের তদন্তের জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। কিছু ব্যবস্থা নিলে তাঁরাই নেবে। কীভাবে কেন্দ্র সাধারণ মানুষকে এমন হেনস্থার মুখে ফেলতে পারে?”
আরও পড়ুন: ‘মমতার সরকার নির্ভর করছে এক কোটি জাল ভোটারের উপর’
নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন নিয়ে এনডিএ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়িত অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হচ্ছে যা বৈষম্যমূলক।”