উত্তর-পূর্বে তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ডে দুর্দান্ত ফল করেছে বিজেপি জোট। মেঘালয়েও ভোট পরবর্তী জোট গড়ে সরকারে আসছে পদ্মশিবির। এবার ২০২৪-এর লক্ষ্যে এগোচ্ছে বিজেপি। ব্লু-প্রিন্ট তৈরি, বছর শেষের মধ্যে অন্তত ১০০টি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বছরভর ভোটপ্রস্তুতি তুঙ্গে থাকবে বিজেপির। মহিলা এবং সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেট করছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, দেশের ১৬০টি নির্বাচনী কেন্দ্রকে নজরে রেখে বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু করতে চলেছে বিজেপি। তার মধ্যে দক্ষিণের রাজ্যগুলি, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এই কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির শক্তি কম। তাই এইগুলিকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া থিঙ্কট্যাঙ্ক। চব্বিশে এই কেন্দ্রগুলিতে পদ্ম ফোটাকে মরিয়া বিজেপি।
সূত্রের খবর, মোদী বছর শেষ হওয়ার আগে বিভিন্ন জনসভা থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্প, সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করবেন। সেপ্টেম্বর থেকেই আগ্রাসী ভাবে প্রচারাভিযান শুরু করবে বিজেপি। এছাড়াও দেশের যে যে রাজ্যগুলি যেমন দক্ষিণের, ওড়িশা এবং বাংলায় বিজেপির শক্তি কম সেখানকার জন্য মেগা প্রকল্প ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন মেঘালয়ে বিজেপি গুরুত্বহীন, কনরাডের কার্যকলাপ বসে দেখতে বাধ্য হলেন মোদী
বিজেপি ইতিমধ্যেই মহিলা এবং সংখ্যালঘু ভোটারদের টার্গেট করে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। মহিলা মোর্চার সদস্যরা মহিলাদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছবেন। তাঁদের কাজই হবে, কেন্দ্রের মহিলা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলি প্রচার করা করা। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু মোর্চার কাজ হবে ১০টি রাজ্যের ৬০টি লোকসভা কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা যেখানে অন্তত ৩০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এর জন্য লোকসভা নির্বাচনের রণনীতি তৈরি করতে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন। তিন সদস্যের এই প্যানেলে রয়েছেন সুনীল বনসল, বিনোদ তাওড়ে এবং তরুণ চুঘ। তাঁরাই সমস্ত মোর্চা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেবেন, এবং রিপোর্ট চাইবেন। জানা গিয়েছে, দক্ষিণের রাজ্যগুলি, বাংলা এবং ওড়িশাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।