ত্রিপুরায় জোট রাজনীতিতে জট অব্যাহত। আঞ্চলিক দল তিপ্রা মোথার সঙ্গে বিজেপি জোটের চেষ্টা করছিল। কিন্তু, উপজাতি সংগঠন তিপ্রা মোথা বৃহত্তম তিপ্রাল্যান্ডের লিখিত আশ্বাস ছাড়া জোটে যেতে নারাজ। বুধবার মোথা নেতারা এই দাবিতে যখন কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত, সেই সময় ত্রিপুরা বিজেপি আগামী মাসের বিধানসভা নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে বৈঠকে মন দিয়েছে।
জোট নিয়ে এই জটকে যে তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তা-ও কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। উলটে তিপ্রা মোথাকে ছাড়াই দলের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, মোথার প্রভাব সাতটি বিধানসভা আসনে সীমাবদ্ধ। তাই মোথাকে নিয়ে অযথা চিন্তার কিছু নেই।
পালটা তিপ্রা মোথার প্রধান প্রদ্যোতকিশোর মাণিক্য দেববর্মা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'আমরা আমাদের সমস্যার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বলেছি। আমরা কেন কী দাবি করছি, তা ব্যাখ্যা করেছি। একে মিশ্রর (উত্তর-পূর্ব বিষয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা) নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা আমাদের কথা শুনেছেন। এখন, সরকার যা বলার বলবে। যদি সরকার আমাদের লিখিতভাবে আশ্বাস দেয়, তবে আমরা তা গ্রহণ করব।'
বিজেপি আর মোথার জোট নিয়ে যখন এই টানাপোড়েন তখন কংগ্রেস-সিপিএম জোটেও জলঘোলা অব্যাহত। সিপিএম নেতৃত্ব বুধবারই রাজ্যের ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৬টিতে প্রার্থী ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। নতুন মিত্র কংগ্রেসের জন্য এক্ষেত্রে মাত্র ১৩টি আসন বরাদ্দ রাখছে বামেরা। যার অর্থ হল, বিরোধী ফ্রন্টেও মোথার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এই পরিস্থিতিতে বামেদের এক নেতা জানিয়েছেন, জোটের জন্য প্রার্থীদের অদলবদল হলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। নির্বাচনের আগে এই বিশৃঙ্খলা যুক্তিযুক্ত হবে না-বলেই বাম নেতৃত্ব মনে করছেন।
আরও পড়ুন- লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মনোনীতদের মেয়র নির্বাচনে ভোটদান ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টে আপ
তবে, বামেদের হালও খুব একটা ভালো নয়। দীর্ঘদিনের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা মানিক সরকার এই নির্বাচনে বামেদের মুখ হতে রাজি হননি। তাঁকে বাম নেতারা বহুবার অনুরোধ করেছিলেন। তারপরও রাজি হননি মানিক সরকার। তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না-বলেও দলকে জানিয়ে দিয়েছেন।
Read full story in English