বারে বারেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হচ্ছে বিজেপিকে। নেতৃত্বের প্রশ্নে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে পদ্ম বাহিনীকে সমাধানের পথ বাতলালেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমোর পরামর্শ, যোগী আদিত্যনাথকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী করুক বিজেপি, তাহলেই নিত্য নেতৃত্ব বদলের সমস্যা মিটবে।
চারমাস আগেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিরথ সিং রাওয়াত। কিন্তু, শুক্রবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিন। রবিবারই ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছে বিজেপির যুব নেতা পুস্কর সিং ধামি। কগিন্তু এতেও গেরুয়া দলের অন্দরের বিতর্ক মিটেনি। উল্টে তা কয়েকগুণ বেড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেন যুব নেতাকে হঠাৎ রাজ্যের শীর্ষ পদে বসানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পোড় খাওয়া অধিকাংশ বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী বছর উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোট। তার আগে বারে বারে মুখ্যমন্ত্রীর বদলই পদ্ম বাহিনীকে অস্বস্তিতে ফেলছে।
আরও পড়ুন- হাফিজের বাড়ির এলাকায় বিস্ফোরণে ভারত যোগ? বড় অভিযোগ ইমরানের
এই অবস্থায় বিজেপিকে বিঁধে এক বিবৃতিতে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই উত্তরপ্রদেশে গণতন্ত্র আহত, আর মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রশ্নেই উত্তরাখণ্ডে গণতন্ত্র অস্থিরতার শিকার। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরাখণ্ডে পাঠালে ভালো হবে। পার্বত্য রাজ্যে ঘনঘন নেতৃত্ব বদলের সমস্যার সমাধান হবে।' বিজেপি শাসিত এই দুই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা অবনতি, দুর্নীতি, নারী নিরাপত্তার বেহাল অবস্থা, ক্রম হ্রাসমান অর্থনীতি নিয়েও সরব হয়েছেন অখিলেশ। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে উত্তরপ্রদেশ বা উত্তরাখণ্ডে কোনও বিনিয়োগ আসে না।
যদিও অখিলেশ যাদবকে পাল্টা তোপ দেগেছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি সতন্ত্রদেব সিং বলেছেন, 'উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। সেই কারণে এই দুই রাজ্যেই উন্নয়ন, সমৃদ্ধ শাসন, সমৃদ্ধি এবং জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজ হয়েছে। ফলে বিরোধীদের ফের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন চূড়ামার হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে পরাজিত সমাজবাদী পার্টি। তাদের দুর্গেও ভালো ফলাফল হয়নি। ফলে হতাশা থেকেই এইসব কথা বলছেন অখিলেশ যাদব। উনি পরাজয় মেনে নিন, আত্মসমালোচনা প্রযোজন ও গণতন্ত্রকে সম্মান করুন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন