আসন্ন বিহার বিধানসভা ভোটেও প্রার্থীর তালিকা এবং নির্বাচনী টিকিট ঘিরে রইল চরম নাটকীয়তা। গেরুয়া শিবিরের টিকিট প্রত্যাখ্যানের পর বিজেপির বেশ কয়েকটি প্রার্থী এনডিএর প্রাক্তন শরিক লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘটনায় জেডি(ইউ) শিবিরে এক 'অবিশ্বাসের বাতাবরণ' সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
কিন্তু কেন এমন আচমকা সিদ্ধান্ত? মনে করা হচ্ছে সম্প্রতি বিজেপি যে দৃঢ় বার্তা দিয়েছে সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলত্যাগী নেতারা। পদ্মশিবিরের তরফে সাফ জানান হয় নীতিশ কুমার রাজ্যের এনডিএ-এর নেতা হিসেবে থাকবেন এবং যারা নীতিশের নেতৃত্বকে অমান্য করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আচরণ করা হবে। আসন ভাগাভাগির পরদিনই রাজ্যস্তরে বিজেপির তিন শীর্ষস্থানীয় নেতা এলজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন, ‘দেশের মধ্যে সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার চলছে পশ্চিমবঙ্গে’
গত দু'দিন ধরে চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন দলে যোগ দেওয়া বড় নাম হলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা রাজেন্দ্র সিং, রামেশ্বর চৌরাসিয়া এবং ঊষা বিদ্যার্থী। তিনজন এলজেপির হয়ে যথাক্রমে দিনারা, সাসারাম ও পালিগঞ্জ আসন থেকে লড়বেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন রাজেন্দ্র সিং।
জানা গিয়েছে, বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জেডি (ইউ) প্রার্থীদের এমন এলজেপি শিবিরে যোগদান এবং একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এলজেপির সূত্রের দাবি, আরও কয়েকজন জেডি (ইউ)-এর বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাঁদের দলের কাছে টিকিট চাইছেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন