কালনার পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের পাথরঘাটায় পালপাড়ায় বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মৃত্যুর আগে ওই বিজেপি কর্মী রবীন পালকে জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি বলে তাঁর মেয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত। বেধরক মারধর করা হয় রবীনবাবুকে। কালনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় উপপ্রধান সুকুমার বাগ সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও উপপ্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না।
ঘটনাস্থলে সিভিক ভলান্টিয়াররা।
পূর্ব বর্ধমানের কালনার পিন্ডিরায় একশো দিনের কাজের মাধ্যমে গাছ কাটার কাজ চলছিল। শনিবার বাড়ির সীমানার গাছ কাটা শুরু হলে বিজেপি কর্মী রবিন পাল বাধা দেন। তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। এরপরই রবিন পালকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার বাগের নেতৃত্বে ১৩-১৪ জনের দুষ্কৃতী দল বেধড়ক মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- পর্যবেক্ষক পদের অবলুপ্তি, তৃণমূলে ব্যতিক্রম অনুব্রত
মৃতের ভাই দানু পাল কালনা থানায় সুকুমার বাগ সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। দানুর অভিযোগ, "দাদা বিজেপি করে তাই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে।" দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। মৃতের নাবালিকা মেয়ের অভিযোগ, "বাবা জল চেয়েছিলেন আর মোবাইল ফোন আনতে বলেছিলেন পুলিশকে জানাবেন বলে। কিন্তু আমাকে তখন হুমকি দেওয়া হয়। জল আর মোবাইল দিলে আমাদের বাড়ির সকলকে মারা হবে।" অভিযোগ, প্রথমে বাড়ির পাশে তারপর রবীনবাবুকে পাশের একটি ঠাকুরবাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন- এক ক্লিকেই ঘরে বসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা বাদল পাত্র জানিয়েছেন, "১০০ দিনের কাজ করছিলাম। তখন রবীনবাবুর বাড়ির পাশে রাস্তার গাছ ছাটা হচ্ছিল। হঠাৎ রবীনবাবু ছুটে এসে আমাকে হাঁসুয়ার কোপ দেয়। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। তারপর কী হয়েছে আমি কিছু জানি না।" ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। যদিও অভিযুক্ত উপপ্রধান জানান, বচসা চলাকালীন আহত বাদল পাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনার সময় সেখানে ছিলাম না। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "এমন কোনও রাজনৈতিক ঘটনার কথা আমার জানা নেই।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন