এদিকে, মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মৃত অর্জুন চৌরাসিয়া তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ। পরিকল্পনা করেই বিজেপি গন্ডগোল পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ অতীন ঘোষের। এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ বলেন, ''মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। শকুনের মতো মৃতদেহের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নির্বাচনের সময় ও আমাদের হয়ে কাজ করেছিল। ওঁদের পরিবারে আত্মহত্যার ট্র্যাডিশন আছে। ওঁর বাবাও আত্মঘাতী হয়েছিলেন।''
মৃত অর্জুন চৌরাসিয়া কাশীপুর-বেলগাছিয়া বিজেপি যুব মোর্চার মণ্ডল সহ সভাপতি ছিলেন বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বেসরকারি একটি সংস্থায় কর্মরত অর্জুন। গতকালই তিনি বেতন পেয়েছিলেন। তবে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। এরপর সকালে রেল কলোনির পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে অর্জুনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
দলের যুব নেতার মৃত্যুতে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার বিজেপি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই অর্জুনকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসীও। এদিন সকালে অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ উদ্ধারে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন পুলিশকে। পুলিশের হাত থেকে মৃতদেহ কার্যত ছিনিয়ে নেওয়া হয়। যদিও শেষমেশ প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার করতে সফল হয় পুলিশ।
প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ''অভিজিৎ সরকারের পর আরও এক বিজেপ নেতা খুন। অর্জুনকে খুন করেছে তৃণমূল। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হোক।'' এদিন ঘটনাস্থেল গিয়েছেন বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারি, সুভাষ সরকার, কল্যাণ চৌবেরা। পরে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররাও কাশীপুরে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, বর্তমানে রাজ্যে সফররত অমিত শাহের কানেও অর্জুনের মৃত্যুর খবর গিয়েছে। দলের যুবনেতার মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শাহ। কোচবিহারের কর্মসূচি সেরে দুপুরে কলকাতায় ফিরে কাশীপুরে যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মৃত যুবনেতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন শাহ।