বিজেপির পুরসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতায়। চাঁদনি চকে পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামলাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আটক করা হয়েছে অভিনেত্রী তথা বিজেপি-র নবাগতা সদস্য রিমঝিম মিত্র ও কাঞ্চনা মৈত্র-সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মীকে। আটক হওয়ার পর রিমঝিম বলেন, ‘‘মানহানি করা হয়েছে। পুরুষ পুলিশকর্মীরা গায়ে হাত দিয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিলাম’’। কাঞ্চনা মৈত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, ‘‘মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে আমাদের। আমায় ৫-৭ জন পুলিশ টেনে নিয়ে গাড়িতে তুলেছেন, আমি কোনও বাধা দিইনি’’। তবে এদিন পুলিশি ব্যারিকেডে লাথি মারতে দেখা গিয়েছে কাঞ্চনাকে। বিজেপির দাবি, তাঁদের ৩৫ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জখম ১০ কর্মীকে কলকাতা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ব্যারিকেডে ধাক্কা কাঞ্চনা মৈত্রের। ছবি: শশী ঘোষ।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গি ইস্যুতে বুধবার কলকাতা পুরসভার উদ্দেশে অভিযানে নামে বিজেপি যুব মোর্চার। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে এয়ার ইন্ডিয়ার অফিস থেকে জমায়েত শুরু হয়। সেখান থেকেই মিছিল যাওয়ার কথা ছিল পুরসভা পর্যন্ত। এরপর চাঁদনি চকেই বিজেপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেয় বিজেপি যুব মোর্চা। মিছিলে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মশা, মশারির মডেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি।
ধুন্ধমার চাঁদনি চক। ছবি: পার্থ পাল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: বাবুলকে ঘিরে ফের বিক্ষোভ, কালো পতাকা-গো ব্যাক ধ্বনি ‘তৃণমূলের’
আরও পড়ুন: অযোধ্যা রায়: ‘রাম মন্দির আন্দোলনে আমিও ছিলাম, কথা দিয়েছিলাম, কথা রেখেছি’
মশার মডেল নিয়ে মিছিল বিজেপির। ছবি: শশী ঘোষ।
আরও পড়ুন: ফের মমতার কাছে শোভন-বৈশাখী
‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ কলকাতা পুরসভা। একইসঙ্গে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর তথ্য বিকৃতি করা হচ্ছে’, এ অভিযোগ তুলেই প্রতিবাদে শামিল বিজেপি যুব মোর্চা। বিক্ষোভ মিছিল করে পুরসভায় স্মারকলিপি পেশের কথা যুব মোর্চার।
ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ডেঙ্গিকে ধামাচাপ দেওয়া হচ্ছে। মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গি লেখা চলবে না! বিশেষ জ্বর, বিশেষ অসুখ বলে চালানো হচ্ছে। তথ্য গোপন করা হচ্ছে। চাপা দিয়ে রোগকে সারানো যায় না। রোগের চিকিৎসা করতে হবে’’।তৃণমূলকে দুষে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘‘৪ বছর ধরে একইভাবে ডেঙ্গিতে শয়ে শয়ে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চুপ। শুধু কাটমানি নিতে ইচ্ছুক তৃণমূলের নেতারা’’।