তেলেঙ্গানার দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি অবিজেপি এবং অকংগ্রেসি 'ফেডারেল ফ্রন্ট' এর জন্য প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে তারা এখন সরে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিআরএস কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোটে যোগ দিতে রাজিও বলে জানিয়েছে। কিন্তু, বিরোধী জোটের মুখ রাহুল গান্ধীকে করা হলে তাদের আপত্তি রয়েছে বলেই জানিয়েছে বিআরএস।
বিআরএসের শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এমনটাই জানতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাঁর নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও কেসিআর কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে রাজি হয়েছেন একটিই কারণে। তা হল, বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার আঞ্চলিক দলগুলোর ওপর প্রবল চাপ তৈরি করেছে। কেসিআরের মেয়ে তথা প্রাক্তন সাংসদ কে কবিতা দিল্লির মদ নীতির মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
এই ব্যাপারে ভারত রাষ্ট্র সমিতির এক প্রবীণ নেতা বলেন, 'যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো বিরোধী নেতাদের এবং যে কোনও ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চেষ্টা করছে, খুব শীঘ্রই আমরা পাকিস্তানের মত হয়ে যাব। সেখানে ইমরান খান ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধী নেতাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। যখন তাঁরা আবার ক্ষমতায় এসেছেন, খান তাঁর জীবনের জন্য লড়াই করছেন। এটি একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি। আর, এই পরিস্থিতিতে সবাইকেই একত্রিত হতে হবে। এটা কিন্তু আর ২০১৯ সাল নয়। আমাদের মতভেদকে দূর করতে হবে। জাতি এবং দেশকে বাঁচাতে বিজেপিকে পরাজিত করাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।'
আরও পড়ুন- সুদান ছাড়ল ভারতীয়দের প্রথম ব্যাচ, সংঘর্ষবিরতির মধ্যেও গোলাগুলি অব্যাহত
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস তাদের নাম পরিবর্তন করে ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস করার পর থেকেই তারা বিভিন্ন রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা শুরু করেছে। আবার, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা ভেবেই অকংগ্রেসি এবং অবিজেপি জোট চাইছিলেন চন্দ্রশেখররা। কিন্তু, সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে মোদী সরকারের চাপ।