বুলডোজার উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জন্য একটি নির্বাচনী ইস্যু হয়ে উঠেছে, কিন্তু মধ্যপ্রদেশে 'বুলডোজার' দলের জন্য কাজ করেনি। সূত্রের খবর, দলের রাজ্য শাখার নেতাদের একাংশ হাইকমান্ডকে একথা জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, উত্তরপ্রদেশের আদলে মধ্যপ্রদেশেও মাফিয়া ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে বুলডোজার ব্যবহার করা হয়। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি।
দলের রাজ্য ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছে বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক বৈঠকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি এসসি-এসটি সমর্থন সংগ্রহের প্রচেষ্টার বিষয়েও তাদের মতামত জানান।
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার আইনশৃঙ্খলার বজায় রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বুলডোজার ব্যবহার করে। যে কারণে সমর্থকরা যোগীর প্রশংসা করেন। পাশাপাশি গোটা দেশের কাছে যোগীর এই বুলডোজার ব্যবহার আলোচনার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। এর পরেই, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও পাথর ছোঁড়া, ঘরবাড়ি ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্তদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে বুলডোজার ব্যবহারের অনুমতি দেন। এই পদক্ষেপের পরে, শিবরাজ সিং চৌহানকেও নিয়েও গোটা দেশে চর্চা শুরু হয়। বিজেপির তরফে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যোগী আদিত্যনাথের সাহসী ভাবমূর্তি দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে তা প্রমাণিত।
আরও পড়ুন: < গুজরাট উপকূলে জেলেদের অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে পাক নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে এফআইআর >
মধ্যপ্রদেশে, যেখানে হিন্দুরা সমগ্র জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের বেশি এবং মুসলমানরা প্রায় সাত শতাংশ, সেখানে 'বুলডোজার রাজনীতি' কাজ করে নি। এমনটাই মনে করছেন দলের নেতারা। বিজেপির এক নেতা বলেছেন, "হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি রাজ্যে কোনও ইস্যু নয়, তবে এখানে জাতপাতের রাজনীতি আরও গভীর।" খারগোনে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরে, ৪৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়, যার মধ্যে কয়েকটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে নির্মিত হয়েছিল। ঘটনাটি নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি।