৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ঘোষণার শুরু থেকেই এই ভোট ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কমিশনের কথায়, রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন যে এই কেন্দ্রে ভোট দ্রুত না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। প্রশ্ন ওঠে, রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক এ ধরণের আবেদন করতে পারেন। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত দু'টি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার হাইকোর্ট তার মধ্যে একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। অন্যটির ক্ষেত্রে দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়েছিলেন মামলাকারী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবেদন খারিজ করলেও এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর।
উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দিন। মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজের মূল যুক্তি হিসাবে সেই কথা তুলে ধরেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। তাঁর প্রশ্ন, 'বিজ্ঞপ্তি জারির এতপরে কেন এলেন?'
রাজ্যে মোট পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। পাশাপাশি দু'টি কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ার কথা। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে একাধিকবার কমিশনের দরবার করেছিল তৃণমূলও। পরে, কমিশনের ঘোষণায় দেখা যায়, ভবানীপুর কেন্দ্রে ছাড়া এ রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন তবে হবে তা জানানো হয়নি। এছাড়া জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও হবে ভোট।
আরও পড়ুন- তৎপর সিবিআই, শিল্পসদনেই জিজ্ঞাসাবাদ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে
কমিশনের দাবি, তাদের দফতরে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী। মুখ্যসচিবের সুপারিশ অনুসারেই ভবানীপুরে আসনে উপনির্বাচন এবং রাজ্যের দু'টি আসনে নির্বাচন করাচ্ছে কমিশন। মুখ্যসচিব কমিশনে জানিয়েছিলেন যে, ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। এরপরই কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট করাতে সম্মত হয় কমিশন।
মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী শিবির। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে দু'টি পৃথক মামলা করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার এবং আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। অন্যদিকে, আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলায় দ্রুত শুনানির আবেদনও খারজিজ করে দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন