বিধাননগরের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কী জানাল হাইকোর্ট

বিধাননগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এছাড়াও প্রচারে বাধা, হুমকিরও অভিযোগ পদ্ম শিবিরের।

বিধাননগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এছাড়াও প্রচারে বাধা, হুমকিরও অভিযোগ পদ্ম শিবিরের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
within 3 months wb govt have to pa DA to the employyes, ordered by calcutta highcourt

কলকাতা হাইকোর্ট।

বিধাননগরের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আলোচনা সারবে কমিশন। কমিশনের বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসবচি, ডিজি। সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রেখে ভোট করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

Advertisment

শুরু থেকেই আসন্ন বিধাননগরের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সওয়াল করেছিল বিজেপি। এমনকী দিন কয়েক আগে ফের একবার পুরনো দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দলের নেতারা। বিধাননগরের দিকে দিকে বিজেপি প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এছাড়াও প্রচারে বাধা, হুমকিরও অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বিধাননগরে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট সম্ভব নয় বলেই মনে করে রাজ্য বিজেপি।

বিধাননগরের ভোটে আধাসেনা মোতায়েন নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইোকোর্টে। এদিন সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকেই। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আলোচনা সেরে ফেলতে হবে। রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে কমিশন। বিধাননগরের আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেত হবে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে আলোচনায় থাকতে হবে। কথা বলতে হবে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে।

সব দিক খতিয়ে দেখে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা জানাতে হবে। পর্যালেচানা বৈঠকের পর যদি দেখা যায় রাজ্যের নিরাপত্তাতেই অবাধ ভোট সম্ভব, তবে সেটাই করতে পারে কমিশন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই হবে আসন্ন নির্বাচন।

Advertisment

আরও পড়ুন- দিনহাটায় আক্রান্ত মিহির, ‘পশ্চিমবঙ্গ- গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার’, তৃণমূলকে তুলোধনা শুভেন্দুর

তবে সেক্ষেত্রে নির্বাচনে কোনও অনিয়ম হলে দায় বর্তাবে কমিশনের উপরেই। এদিন আদালত সেদিকটিও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এদিকে, বিধাননগরের ভোটে আধাসেনা দিতে আপত্তি নেই কেন্দ্রেরও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আবেদন করলে বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

অন্যদিকে, নির্বাচনমুখী রাজ্যের সব পুরসভার ভোট গণনাও একই দিনে করার আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারী। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এব্যাপারে জানিয়েছেন, ভোট গণনার দিনও ঠিক করা যায় কিনা, সেটা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে।

election commission Central Force Bidhannagar highcourt Municipal Election