ভবানীপুর ভোট-মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এপ্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের পেশ করা হলফনামা নিয়েও এদিন চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে। তবে কমিশনের আইনজীবী এব্যাপারে বল ঠেলেছেন নবান্নের দিকে। এরপরেই এদিন মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।
ভবানীপুর ভোট মামলার শুনানিতে কমিশনের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর এবং দিনহাটা কেন্দ্র এড়িয়ে একমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচনের ছাড়পত্র দেয় নির্বাচন কমিশন। বেছে-বেছে ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন? এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। ভবানীপুরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপনির্বাচন করানো না গেলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরির আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। রাজ্যের আবেদন মেনে নেয় নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুর উপনির্বাচনে অনুমোদন দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সংকটের দিকটিকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় কমিশন।
পরবর্তী সময়ে কমিশনের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, বেছে বেছে শুধুমাত্র একটি বিধানসভার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। মুখ্যচিবের এই তৎপরতা কমিশনকে প্রভাবিত করার সামিল বলেও মনে করেন মামলাকারীর আইনজীবী। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনকে হলফনামা দিয়ে তার বক্তব্য জানাতে বলে উচ্চ আদালত। ভবানীপুরে এখনই উপনির্বাচন না হলে ঠিক কোন ধরনের সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজকের মধ্যে হলফনামা দিয়ে আদালতকে তা জানাতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ভুল হেয়ার-কাট, ক্ষতিপূরণ বাবদ মহিলা পেলেন ২ কোটি
আদালতে কমিশন যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে সাংবিধানিক সংকট বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা নেই। তবে এদিন আদালতে কমিশনের আইনজীবী জানান, এব্যাপারে মুখ্যসচিব বলতে পারবেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।পাল্টা তিনি কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, ''উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি তো আপনারা জারি করেছেন। মুখ্যসচিব কেন এব্যাপারে বলবেন। আপনাদের কাছ থেকে আদালত যা জানতে চেয়েছিল তার সটিক উত্তর মিলল না।'' এরপরেই এদিন ভবানীপুর ভোট-মামলার রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন