দেশজুড়ে বড়সড় সিবিআই তল্লাশি অভিযান। শুক্রবার রাজস্থান, গুজরাত ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। রাজস্থানের নতুন একটি মামলায় সিবিআই স্ক্যানারে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ভাই অগ্রসেন। এদিন তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলেটর ভাই অগ্রসেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি-সহ কয়েকজন সরকারি কর্তাও আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। ২০০৭-০৯ সালে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ করা ভর্তুকির সার বিদেশে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ গেহলটের ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাই অগ্রসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তবে সূত্র জানিয়েছে, গেহলটের ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দায়ের করা নতুন মামলাটি ইডি-র আগের মামলা চেয়ে আলাদা।
২০২০ সালের জুলাইয়ে মরুরাজ্য রাজস্থানে তীব্র রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক সেই সময়েই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে বিজেপিও। সার নিয়ে বেনিয়ম মামলায় সেই সময়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সার নিয়ে বেনিয়মের ওই মামলায় ওই বছরের ২২ জুলাই রাজস্থান, গুজরাত ও পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৩টি জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। জানা গিয়েছে, অগ্রসেন গেহলট এবং তাঁর সংস্থা অনুপম কৃষির সঙ্গে যুক্তদের বাড়ি-অফিসেই চলে ইডি-র সেই অভিযান।
আরও পড়ুন- কড়া নাড়ছে চতুর্থ ঢেউ? লাগাতার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আশঙ্কার পারদ চড়ছে
কথিত দুর্নীতিটি মুরিয়েট অফ পটাশ (এমওপি) সম্পর্কিত, যা ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড (আইপিএল) আমদানি করে। পরে আমদানিকৃত সেই সার ভর্তুকি দিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেডের উপরেই পটাশ আমদানির ভার থাকে। ওই সংস্থাই দেশজুড়ে এর প্রচার থেকে শুরু করে বিপণনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই সংস্থাই কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে সার সরবরাহ করে।
আরও পড়ুন- অগ্নিপথ বিক্ষোভে উত্তাল বহু রাজ্য, বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, তেলেঙ্গানায় নিহত ১
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে অগ্রসেন গেহলট আইপিএলের একজন অনুমোদিত ডিলার ছিলেন। ভর্তুকিযুক্ত হারে এমওপি কিনে তিনিই একাধিক সংস্থার কাছে তা বিক্রি করেছিলেন। বেআইনিভাবে সার রফতানিতে যোগ রয়েছে অগ্রসেনের সংস্থা অনুপম কৃষির। কৃষকদের জন্য ভর্তুকির সার বিদেশে বিক্রির অভিযোগ অগ্রসেন গেহলেটর বিরুদ্ধে।