ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরই বিজেপি বিরোধী শক্তিদের একত্রিত হওয়ার ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোটের কাছে বিজেপির পরাজয়ের পর দেশের বিরোধী দলগুলির বর্ষীয়ান নেতাদের একত্রিত হয়ে 'দেশ বাঁচানোর' পরিকল্পনা গ্রহণ করতে আর্জি জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড দেশের পাঁচ নম্বর রাজ্য যেখানে ক্ষমতাচ্যুত বিজেপি।
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিলে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে স্লোগান কম, কান ফাটলো অন্য স্লোগানে
সোমবার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে বড়দিনের অনুষ্ঠানে গিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। এনআরসি ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন যে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করতে চাইছে যে দল তাঁর বিরুদ্ধে সকলকেই একত্রিত হতে হবে। ঝাড়খণ্ডের জেএমএম দলের হেমন্ত সোরেন, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবীদার, তাঁকে দেওয়া চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক (এনআরসিৎ-এর বিরুদ্ধে দেশে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিকে "গুরুতর" বলে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি সমস্ত বিরোধী দলকে একত্রিত হয়ে "কট্টরপন্থী শাসনের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানোর" আহ্বান জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন অবিলম্বে বন্ধ করুন, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মমতা সরকারের
তৃণমূল সূত্রে খবর, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফেরেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ-সহ বেশ কিছু পদ্ম বিরোধী নেতাদের চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী লিখেছেন সেই চিঠিতে? তৃণমূল সুপ্রিমো লিখেছেন, “আজ আমি উদ্বেগ নিয়ে আপনাকে লিখছি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের নাগরিকরা, বিশেষত নারী ও শিশু, কৃষক, শ্রমিক এবং তফশিলি উপজাতি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সদস্যরা ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ... পরিস্থিতি গুরুতর। আজ, আমাদের এই কঠোর শাসনের বিরুদ্ধে উঠতে দাঁড়াতে হবে। আমি আন্তরিকভাবে সমস্ত বর্ষীয়ান নেতাদের এবং সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠনকে অনুরোধ করছি যে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ান। শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করি।"
Read the full story in English