শুক্রবার দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাসভবনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অভিযান চালিয়েছে। তার মধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে একটি ভাষণ দেন। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আপ সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই কারণেই জনগণকে অভিনন্দন জানান কেজরিওয়াল।
পাশাপাশি, সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযান নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। কেজরিওয়াল স্পষ্ট জানান যে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযান প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, তাঁর দল আম আদমি পার্টি ক্রমশই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। তাই রাজনৈতিক ভাবে না-পেরে, প্রশাসনিক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীকে কাবু করতে সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে মোদী সরকার। কিন্তু, তাঁর দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিজেপির এভাবে দমন-পীড়নের চেষ্টা গ্রাহ্য করছে না। ভয় পাচ্ছে না। লড়াই থেকে পিছপা হতে নারাজ বলেই জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
এই কথা বলার পাশাপাশি কেজরিওয়াল জানান, মোদী সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া। একইসঙ্গে কেজরিওয়াল দাবি করেন যে তিনি নিশ্চিত দিল্লি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী সিসোদিয়ার বাড়ি থেকে অন্যায়জনক কিছুই খুঁজে পাবে না সিবিআই। তাঁর আট মিনিটের ভাষণে, সিবিআই ইস্যুতে মাত্র এইটুকু শব্দই ব্যবহার করেন কেজরিওয়াল।
তাঁর বাকি বক্তব্যজুড়ে ছিল অন্যান্য বিষয়। যেমন কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আম আদমি পার্টি চলতি বছরের শুরুতেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। এর ফলে একাধিক রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের পরে দ্বিতীয় শক্তিশালী বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। এবার মোদী ও তাঁর দল বিজেপিকে পরাস্ত করাই তাঁদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- ‘টাকা-ভর্তি’ ব্যাগ নিয়ে ভিনরাজ্যের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠ? নয়া অভিযোগে তোলপাড়
দিল্লি, গুজরাট বা হিমাচলপ্রদেশ, তাঁর প্রচারে কেজরিওয়াল বরাবরই দাবি করে যাচ্ছেন, তাঁর সরকার কর্মকুশলতায় মোদী এবং বিজেপিকে টেক্কা দিচ্ছে। দাবি করছেন, ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে তিনি মোদীর এবং তাঁর দল বিজেপির প্রায় সমানস্তরে চলে এসেছে। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি ব্যাপকভাবে ধরাশায়ী হয়েছিল। সেটা গোটা দেশেই। সেনিয়ে অবশ্য উচ্চবাচ্য করতে শোনা যাচ্ছে না আপ সুপ্রিমোকে।
Read full story in English