চন্দ্রযান ২-য়ের চাঁদের মাটি ছোঁয়াকে কেন্দ্র করে দেশবাসীর উচ্ছাস উদ্দীপনার পিছনে কেন্দ্রের চক্রান্ত দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার গভীর রাতে চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-২। শ্রীহরিকোটায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশজুড়ে চলছে প্রহর গোনা। উচ্ছাস উন্মাদনা গোটা ভারতে। তবে, এর পিছনে মোদী সরকারের ষড়যন্ত্রই দেখছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে মুখ ঘুরিয়ে দিতেই কেন্দ্রের এই উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'যেন মনে হচ্ছে দেশ থেকে এই প্রথম চন্দ্রযান চাঁদে যাচ্ছে। তারা ক্ষমতায় আসার আগে যেন কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। এটা আসলে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।'
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-২: বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের ছবি দেখতে পাবেন কি?
গত ২২সে জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-২। এদিন গভার রাতেই চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার মডিউলার বিক্রম। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে বিক্রম। সেখানে জলের সন্ধান রয়েছে কিনা, তা জানা যেতে পারে এই অভিযানের মাধ্যমে।
আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিহার জেলে রাখা হয়েছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে। সরব কংগ্রেস। শুক্রবার এই ইস্যুতে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আইন আইনের পথেই চলবে। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি জানি না। তবে কি কারণে সাধারণ বন্দিদের তাঁকে তিহার জেলে রাখা হল? ওঁকে ন্যূনতম সম্মান দেখানো উচিত ছিল ওদের।'
আরও পড়ুন: Chandrayaan-2: সবচেয়ে দুশ্চিন্তার মুহূর্ত, কেমন করে অবতরণ করবে চন্দ্রযান?
বিভিন্ন রাজ্যে এনআরসি করার হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। দেশের আর্থিক মন্দা থেকে চোখ ঘোরাতে এনআরসিও কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত বলে মনে করেন মমতা। তাঁর কথায়, 'বাংলায় আমরা এনআরসি মেনে নেব না। এটা নিরপেক্ষভাবে করা হলে তা বিবেচনা করা হত। কিন্তু, এটা হচ্ছে অর্থনৈতিক মন্দা ঢাকতে মানুষের মনোভাব ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য।' প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিংয়ের কথা তুলে ধরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বদলে দেশের অর্থনীতিকে পোক্ত করতে উদ্যোগী হোক কেন্দ্র।'
গত ৩১শে অগাস্ট আসাম এনআরসি'র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। গোটা আসামজুড়েই এখন অনিশ্চয়তা।
Read the full story in English