সিবিআই-এর সদ্য অপসারিত ডিরেক্টর অলোক ভার্মা 'রাফাল দুর্নীতি' তদন্তে হাত দিয়েছিলেন বলেই তাঁকে পদ খোয়াতে হল। বুধবার এমনটাই বললেন রাহুল গান্ধী। রাজস্থানের হাদতিতে এক জনসভায় এদিন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই ভার্মাকে সরিয়ে দিলেন চৌকিদার (মোদী)...রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত নথি জোগাড় করা শুরু করেছিলেন সিবিআই-এর প্রধান। আর সে জন্যই তাঁকে জোর করে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। যে রাফাল চুক্তি সামনে আনবে, তাঁকেই সরে যেতে হবে- এই স্পষ্ট বার্তাটিও দেওয়া হল। দেশ ও সংবিধান এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে"। উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী প্রায়শই নিজেকে 'দেশের চৌকিদার' বলে থাকেন। আর রাহুল গান্ধীও মোদীকে বিদ্রুপ করে মাঝেমধ্যেই 'চৌকিদার' নামে ডেকে থাকেন।
শুধু রাহুল গান্ধীই নয়, কংগ্রেস মুখপাত্র তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিও কেন্দ্রকে সিবিআই ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্র সিবিআই আইন ভঙ্গ করেছে। আর এরপরই পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়া এই সাংসদ শ্লেষের সঙ্গে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী রাফায়েলফোভিয়ায় (রাফাল আতঙ্ক) ভুগছেন এবং সংস্থাটিকে (সিবিআই) কব্জায় আনতেই ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে"।
আরও পড়ুন- সিবিআই-এর বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতেই সরানো হয়েছে অলোক ভার্মাকে- জেটলি
প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তি নিয়ে ইদানিং রীতিমতো সরগরম রাজনৈতিক মহল। 'কলঙ্কমুক্ত' বলে দাবি করা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ হিসাবে 'রাফাল চুক্তি'কে হাতিয়ার করেছে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস। রাহুল বলেছেন, অনিল আম্বানির ঋণ মেটাবেন বলেই মোদী রাফাল চুক্তি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারনটিক্সের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে আম্বানির সংস্থাকে দিয়েছেন। এভাবেই মোদী জনগণের টাকা আম্বানির পকেটে ঢোকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ কংগ্রেস সভাপতির।
আরও পড়ুন- সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে রাতারাতি অপসারণ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আলোক ভার্মা
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মধ্যরাতে জারি হওয়া এক নির্দেশিকায় সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অলোক ভার্মাকে এবং স্পেশ্যাল ডিরেক্টরের পদ থেকে রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠায় সরকার। সেই জায়গায় এম নাগেশ্বর রাওকে সিবিআই-এর মাথায় বসানো হয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অলোক ভার্মা।
Read full story in English