নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে ক্রমশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে ভারতের একাধিক রাজ্য। রবিবার রাতে জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পর সেই আগুন ছড়িয়েছে বহুগুণে। সহিংস বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজধানীর ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে সোমবার ইন্ডিয়া গেটের সামনে দু’ ঘণ্টার প্রতীকী ধর্নায় বসলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দেশে 'স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে বিজেপি সরকার' এই মর্মেই মোদী-শাহকে বিঁধলেন রাজীব-কন্যা। পাশাপাশি মোদীকে একহাত নিলেন সোনিয়া গান্ধী। পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভের নেপথ্যে যে গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিই দায়ী, এমন সুরেই নমোকে বিঁধলেন রাজীব-জায়া।
আরও পড়ুন: মমতাই ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য জমি দিচ্ছেন, বিস্ফোরক দাবি বিমানের
কংগ্রেসের উত্তর ভারতের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানিয়ে দেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশমাতৃকা ভারতের আত্মার উপর হামলার সমান। তিনি এবং তাঁর দলের প্রতিটি সদস্য মোদী সরকারের এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবেন। পড়ুয়াদের পাশে থেকেই ইন্দিরা-পৌত্রী বলেন, "শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। এই দেশটি তাঁদেরই।" উল্লেখ্য, রবিবার রাতেই বিক্ষোভের জেরে বাসে আগুন জ্বালিয়ে দেয় জামিয়ার পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্য করে পুলিশ। এরপরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত।
আরও পড়ুন: ‘আমার সরকার ফেলতে হলে ফেলে দিন’, চরম বার্তা মমতার
তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই কথা বলতে বলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, "শিক্ষার্থীরা জাতির প্রাণ। ঘটনাটি সংবিধানের উপর আক্রমণ। শিক্ষার্থীদের টেনে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। বুঝতে হবে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। ভারত গণতন্ত্র স্বৈরাচারের কথা বলে না।" সোনিয়া-কন্যা বলেন, "সবারই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করা উচিত। নারীদের সুরক্ষা, অর্থনীতি, বেকারত্ব এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে গতকাল যা হয়েছে তাঁর উত্তর দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই। এখন কেন তিনি?"
Read the full story in English