আবারও মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে তৃণমূল বিধায়ক। পৃথক জেলা ইসলামপুরের দাবি তুলেছিলেন বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরি। তাতেই বেজায় চটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। 'মিটিংয়ে এই ধরনের দাবি করা উচিত নয়। এসব চিপ কথাবার্তা বলবেন না। জিতেছেন, এখন ভালো করে কাজ করুন। ওসব হবে না।' মঙ্গলবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর ধমক তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরিকে।
মঙ্গলবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক থেকেই খোঁজ নেন দুই জেলার সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প জেলায় কেমন চলছে সে বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঞ্চ থেকেই ইসলামপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরির কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একথার পরেই বলতে শুরু করেন বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইসলামপুরকে পৃথক জেলা করে দেওয়ার আর্জি জানান তৃণমূল বিধায়ক। তাতেই বেজায় চটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- নতুন বছরের শুরুতেই ফের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির, দিনক্ষণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
আবদুল করিম চৌধুরির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এরপর বলেন, 'এটুকু ছোটো একটা জেলা। ইসলামপুর পুলিশ জেলা তো আছে। আপনার কি প্রবলেম আছে? রায়গঞ্জ থেকে ইসলামপুরের দূরত্ব কতটুকু। একটা জেলা করতে অনেক কাজ করতে হয়। কোথা থেকে অফিসার পাবেন? জিতে গিয়েছেন, এখন ভালো করে কাজ করুন। ওসব হবে না। এবার বসুন। চিপ কথাবার্তা বলবেন না।' এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এরকম হলে বিধায়কদের কথা বলার অনুমতি দেব না। সব কিছু করে দেওয়া হচ্ছে। ওইটুকুখানি একটা জেলা। এবার তো বলবে আমার ঘরের মধ্যে জেলা করে দিন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন