Advertisment

'অর্থমন্ত্রী পেঁয়াজ খান না তো কী খান? অ্যাভোকাডো?' প্রশ্ন চিদাম্বরমের

সীতারমণেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বৃহস্পতিবার জানান, তিনি পেঁয়াজ খান না, ফলত পেঁয়াজের দাম সংক্রান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nirmala sitharaman

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ফাইল ছবি

তাঁকে "মারি আঁতোয়াঁনেত" আখ্যা দেওয়া থেকে তিনি "অ্যাভোকাডো পছন্দ করেন কিনা", কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বিরুদ্ধে নানাভাবে বৃহস্পতিবার আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। কারণ বুধবার তিনি সংসদে বলেছিলেন, তাঁর পরিবারের "পেঁয়াজ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই"।

Advertisment

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ১০৬ দিন কারাবাসের পর বুধবার জামিনে মুক্তি পেয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম জানতে চান, সীতারমণ পেঁয়াজের বদলে অ্যাভোকাডো (পেয়ারা জাতীয় দামী ফল) খেতে পছন্দ করেন কিনা। চিদাম্বরমের প্রশ্ন ছিল, "অর্থমন্ত্রী গতকাল বললেন তিনি পেঁয়াজ খান না, তো কী খান? অ্যাভোকাডো খান?" জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

চিদাম্বরমের পুত্র কার্তি, যিনি নিজেও লোকসভার সাংসদ, একটি টুইটে লেখেন, "আমাদের নিজস্ব মারি আঁতোয়াঁনেত"। প্রসঙ্গত, মারি আঁতোয়াঁনেত ছিলেন ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুইয়ের স্ত্রী, এবং ইতিহাস তাঁকে মনে রেখেছে তাঁর এক কুখ্যাত মন্তব্যের জন্য। তাঁর প্রজারা পাউরুটি পর্যন্ত খেতে পাচ্ছে না শুনে মারি নাকি বলেছিলেন, "তো ওরা কেক খাক"।

বুধবার লোকসভায় পেঁয়াজের ফলনে ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান দাম সম্পর্কে এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন সীতারমণ। সেসময় এক সাংসদ তাঁকে বাধা দিয়ে জানতে চান, "আপনি পেঁয়াজ খান?"

জবাবে মন্ত্রী বলেন, "আমি অত রসুন, পেঁয়াজ খাই না বাবা। আমি এমন পরিবারের সদস্য যেখানে পেঁয়াজ নিয়ে কারোর মাথাব্যথা নেই।"

তাঁর এই মন্তব্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেস, এবং আক্রমণ শানায় বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও সংসদের বাইরে "বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি এবং (পেঁয়াজের) দাম, এবং অর্থমন্ত্রীর উদ্ধত, অসংবেদনশীল মন্তব্যের" বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস সাংসদরা।

সীতারমণের দফতর থেকে পরে এক বিবৃতি জারি করা হয়, যাতে বলা হয় যে তাঁর বক্তব্যকে ভুলভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এবং প্রেক্ষিতের বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।


কলকাতা সহ দেশের সব জায়গাতেই চড়চড় করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, মূলত ফলনে ঘাটতির কারণে। এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কিছু কাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। "একটা বড় কারণ হলো যে আমাদের পেঁয়াজ স্টোর করার বিজ্ঞানসম্মত কোনও পদ্ধতি নেই...এটা একটা কারণ, সুতরাং আমাদের এই ধরনের স্টোরেজ তৈরি করা প্রয়োজন, যে ব্যাপারে আমরা কাজ শুরু করেছি...এছাড়াও লাসালগাঁওয়ের মতো পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চলে আরও ভালো স্টোরেজের ব্যবস্থা করা," বলেন তিনি।

অন্যদিকে সীতারমণেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বৃহস্পতিবার জানান, তিনি পেঁয়াজ খান না, ফলত পেঁয়াজের দাম সংক্রান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নন। "আমি নিরামিষাশী। জীবনে পেঁয়াজ খাই নি। আমার মতো লোক কী করে জানবে পেঁয়াজের বাজারদর কত," বলেন তিনি।

ইতিমধ্যে আপৎকালীন পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তুরস্ক থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টন, এবং মিশর থেকে আন্দাজ ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে জানা যায়। মিশর থেকে পেঁয়াজ এসে পৌঁছবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি, এমনও জানা গিয়েছে।

Nirmala Sitharaman onion price
Advertisment