বাম হোক বা তৃণমূল, দুই জমানাতেই কলকাতার ৪৫ নং ওয়ার্ড কংগ্রেসের। ২০০৫ থেকে চৌরঙ্গী বিধানসভার অন্তর্গত এই ওয়ার্ড ধরে রেখেছেন কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক। এবারও শহর কলকাতা জুড়ে জোড়াফুলের প্রবল বিক্রমের মধ্যেও হুগলি নদীর পাড়ের এই এলাকায় কংগ্রেসের সম্মান রক্ষার ভার নিলেন সন্তোষ পাঠক।
কলকাতার রাজনীতিতে বেশ পরিচিত নাম সন্তোষ পাঠক। তিলোত্তমা মহানগরীতে কংগ্রেসের সব কর্মসূচিতেই প্রথম সারিতে দেখা যায় তাঁকে। বাম জমানাতেও তাঁর 'গদি' টলানো যয়ানি। পরে তৃণমূল এলেও সন্তোষ পাঠকের এলাকায় সেভাবে প্রভাব দেখাতে পারেনি জোড়াফুল। এক কথায় সন্তোষ পাঠকের হাত ধরেই কলকাতা পুরসভার ৪৫ নং ওয়ার্ডটি কার্যত কংগ্রেসের দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত হয়েছে। একটানা ১৫ বছর ধরে ওয়ার্ড ধরে রেখেছেন তিনি।
কলকাতার এই ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে অফিস পাড়া। বিভিন্ন ভাষার মানুষ বাস করেন এই এলাকায়। ভোটের প্রচারে সব দিক মাথায় ছিল সন্তোষের। কখনও চায়ের দোকানে বসে আডায় মেতেছেন, কখনও আবারও ক্রিকেট খেলেও চালিয়েছেন জনসংযোগের কাজ। শেষমেশ শেষ হাসি তিনিই হেসেছেন।
আরও পড়ুন- কঠিন লড়াইয়ে বাজিমাত, ‘মানুষের হয়ে গেলাম’, ভোটে জিতে প্রতিক্রিয়া সজল ঘোষের
৪৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ফের একবার তাঁর শক্ত কাঁধেই ভরসা রেখেছেন। তৃণমূলের বিজয়রথ ৪৫-এ এসে থমকে গিয়েছে। তবে এবারের লড়াইটা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ভোটের দিনেও তুমল অশান্তি হয়েছে এই ওয়ার্ডে। ভুয়ো ভোটার ধরাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি পর্যন্ত হয়েছে।
মাস কয়েক আগেই একুশের বিধানসভা ভোট গিয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তারই কয়েক মাসের মাথায় কলকাতায় পুরভোট। শুরু থেকেই ফেভারিট হিসেবে লড়াইয়ে ছিল রাজ্যের শাসকদল। ভোটের ফলেও দেখা যাচ্ছে আবারও তৃণমূলকেই কলকাতা শাসনের ভার দিয়েছেন জনগন। তবে কলকাতার প্রায় সব ওয়ার্ডেই ঘাসফুলের পতাকা উড়লেও ৪৫ নং ওয়ার্ডে কংগ্রেসের গড়ে থাবা বসাতে পারেনি জোড়াফুল। এই ওয়ার্ডে আবারও জয়ী কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন