/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/pm-modi-759.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দেশে কৃষিঋণ মকুব না করলে ‘মোদীকে শান্তিতে ঘুমোতে দেব না’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতির যে কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে হিমাচলপ্রদেশের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কৃষিঋণ নিয়ে কংগ্রেস ভুল বোঝাচ্ছে। এবার সেই কৃষিঋণ ইস্যুতেই কংগ্রেসকে ‘ললিপপ’ বলে কটাক্ষ করলেন মোদী। গাজিপুরের সভায় মোদী বলেছেন, কংগ্রেস একটা ‘ললিপপের কোম্পানি’, ওদের বিশ্বাস করা যায় না।
কৃষিঋণ মকুব নিয়ে পারদ চড়ছে রাজনৈতিক ময়দানে। তিন হেভিওয়েট রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেই কৃষিঋণ মকুব করেছেন রাহুল গান্ধীরা। এমনকি, কৃষকদরদী ভাবমূর্তি দেখা গিয়েছে রাজস্থান, আসামের মতো কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যেও। এবার সেই কৃষিঋণ নিয়েই কংগ্রেসকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। গাজিপুরের সভায় এদিন মোদী বলেছেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস সরকার গড়েছে। কিন্তু কৃষকদের এখনও ইউরিয়া পাওয়ার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এমনকি, কর্নাটকের মতো রাজ্য, যেখানেও সরকারে কংগ্রেস। সেখানে প্রতিশ্রুতির বদলে মানুষের হাতে ললিপপ তুলে দিয়েছে কংগ্রেস। কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ৮০০ জনের ঋণ মকুব হয়েছে। আপনি বলুন, কীভাবে এই ললিপপ কোম্পানিকে বিশ্বাস করবেন?’’
আরও পড়ুন, শাসক জোটের অসন্তোষের মাঝেই গাজীপুরে মোদীর সমাবেশ
কৃষিঋণ মকুবের পাশাপাশি তাঁকে চোর অপবাদ দেওয়া নিয়েও হিমাচলের সভায় রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছিলেন মোদী। রাহুলের নাম না করে কটাক্ষের সুরে সেদিন মোদী বলেছেন, যাঁরা টাকা লুঠ করছেন, তাঁরা আসলে দেশের ‘চৌকিদার’কে ভয় পাচ্ছেন, তাই এসব বলছেন। হিমাচল প্রদেশের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আরও বলেছিলেন, ‘‘যাঁদের লুঠ করার অভ্যেস রয়েছে, তাঁরাই এখন দেশের চৌকিদারকে ভয় পাচ্ছেন।’’ ‘চোর’ অপবাদের পাল্টা হিসেবে মোদী বলেছেন, এই চৌকিদার ওই চোরদের রেয়াত করবেন না।
অন্যদিকে, এদিন সেখানে একটি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদী। রাজা সুহেলদেবের নামে পোস্টাল টিকিট প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গাজিপুর সফর শেষে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে পা রাখবেন মোদী। আজ বারাণসীতে একটি গবেষণা কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করার তাঁর।
Read the full story in English