'ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ হলে দেশের কোনও লাভ নেই। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে গেলেই দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে।' এই মন্তব্য করেই ছত্তিশগড় থেকে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
দেশজুড়ে সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলন চলছে। মোদী জমানায় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও তলানিতে। বাড়ছে বেকারত্ব, জাতি বিদ্বেষ, হিংসার ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে ছত্তিশগড় সরকার পরিচালিত আদিবাসী নৃত্য উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়ে দেশের সকল জাতি, বর্ণ, ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে প্রশাসন পরিচালনার কথা তুলে ধরেন রাহুল।
Shri @RahulGandhi addressed the crowd at the inauguration of Rashtriya Adivasi Nritya Mahotsav, Chhattisgarh.#CGTribalFest2019 pic.twitter.com/FLpjDYNIeU
— Congress (@INCIndia) December 27, 2019
এদিন ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'দেশের কী অবস্থা তা আপনারা সকলেই জানেন। কৃষি ও কৃষকের অবস্থা বেহাল। কর্মসংস্থান নেই। দেশের অর্থনীতি চরম দুর্দাশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে, সব ধর্মের, জাতির বর্ণের, আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষকে একত্রিত করে চলতে না পারলে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। এছাড়া যাই করা হোক না কেন তা কাজে আসবে না। সকলে এক না হলে, সবার কথা লোকসভা-বিধানসভায় উঠে না এলে অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এগোন যাবে না।'
আরও পড়ুন: ‘ঐক্যের জন্য সত্যাগ্রহ’, রাজঘাটে ধর্নায় সোনিয়া, মনমোহন
রাহুল গান্ধীর সংযোজন, 'আমি প্রত্যেকটি ভাষণেই বলে থাকি, দেশের অর্থনীতি কৃষক, শ্রমিক, আদিবাসী ও দরিদ্র দ্বারা চালিত হয়। কেউ যদি মনে করে ভারতের আর্থনীতি ১০-১৫ জন মানুষের কাছে গচ্ছিত রাখবে তাহলে নোটবন্দি, জিএসটি-র মতো সিদ্ধান্ত লাগু করতে হবে। আর তাহলে আর কর্মসংস্থান করা যাবে না।' ছত্তিশগড়ের বাঘেল সরকারের প্রশংসা করে রাহুল বলেন, 'আমি খুশি যে এই রাজ্যের সরকার সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছে।' তাঁর দাবি ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার আসার পর থেকে হিংসা কমেছে, অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেই পার্থক্য স্পষ্ট যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তাঁর কথায় উঠে আসে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বিষয়টি। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য, ছত্তিশগড়ে সিএএ বা এনআরসি লাগু হবে না বলে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই রাজঘাটে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় হাত শিবির। সেখানমে রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে 'দেশভাঙনের প্রধান কারিগর' বলে অভিযোগ করেছিলেন। সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে শনিবার পদযাত্রা করবে কংগ্রেস।
Read the full story in English