বজরং দল, পিএফআইয়ের মত যে সমস্ত সংগঠন ঘৃণা ছড়াচ্ছে, নির্বাচনে জিতলে তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড়ের প্রতিশ্রুতি দিল কংগ্রেস। মঙ্গলবার প্রকাশিত দলের ইস্তাহারে কংগ্রেস নেতৃত্ব এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মোদী সরকারের জমানায় পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চলেছে। এবার বজরং দলকেও বিভেদকামী শক্তির তকমা দিয়ে সেই ধরপাকড়ের তালিকায় টেনে আনলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবির দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে চলেছে যে কংগ্রেস নেতৃত্ব হিন্দুদের বিরোধী। বজরং দল বা সংঘ পরিবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে অতীতে কংগ্রেস নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এবার, কার্যত সেই ধারা টেনেই তারা যেন বজরং দলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিশ্রুতি দিল নির্বাচনী ইস্তাহারে।
কর্ণাটকে সম্প্রতি হিজাব ইস্যুতে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। সেই আন্দোলনের পিছনে ছিল মুসলিম সংগঠন পিএফআই বা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। তার জেরে গোটা দেশে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তাদের নেতাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, তার সঙ্গে বজরং দলের নাম কংগ্রেস জুড়ে দিল কেন? এই ব্যাপারে ইস্তাহারে কংগ্রেস নেতৃত্ব বলেছেন, 'আমরা বিশ্বাস করি যে আইন ও সংবিধান পবিত্র। আর, বজরং দল, পিএফআই বা অন্যরা শত্রুরা তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায়। সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে যেই হোক না-কেন, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কখনও সংবিধানকে লঙ্ঘন করতে পারে না।' ইস্তাহারে কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা এই জাতীয় সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ-সহ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।'
আরও পড়ুন- কোটা বৃদ্ধি, ওপিএস ফেরানো, আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতিতে কর্ণাটকে প্রকাশিত কংগ্রেসের ইস্তাহার
কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের ইস্তাহারের এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিজয়নগর জেলার হোসপেটে এক নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, 'আমি হনুমানের দেশে এসেছি। আমি ভাগ্যবান যে আমি হনুমানের দেশে প্রণাম করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু, দুর্ভাগ্য দেখুন যে আমি যখন হনুমানের জমিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি, ঠিক সেই সময়ে কংগ্রেস তার ঘোষণাপত্রে ভগবান হনুমানকে তালাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' প্রসঙ্গত, বজরং দল ভগবান হনুমানের উপাসনা করে। আর, তাঁর নাম বজরংবলী থেকেই সংঘ পরিবার সংগঠনটির নাম দিয়েছে বজরং দল।