নভজ্যোত সিং সিধুকে সিআইএসএফ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠাল কংগ্রেস। কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা বলেন, সিধু যেহেতু ''আইন প্রণেতা, কংগ্রেসের একজন মুখাপাত্র এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারের উল্লেখযোগ্য সমালোচক, তাই তাঁর নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে"। আর সে কারণেই সিধুর জন্য রাজনাথ সিং-এর মন্ত্রককে সিআইএসএফ নিরাপত্তা অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
সুরযেওয়ালার চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, সিধু পঞ্জাবের ড্রাগ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন বলে তাঁর জীবনের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে। তাছাড়া, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসার পর এই প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিককে প্রায়ই হুমকি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, প্রথমে কংগ্রেসে থাকলেও পরবর্তীকালে বিজেপিতে নাম লেখান নভজ্যোত সিং সিধু। এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্জাব নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি ছেড়ে এবং সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। বর্তমানে তিনি পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ‘‘মালিয়া, আম্বানি, নীরব মোদীদের থেকে টাকা নিয়ে ঋণমকুব করা হবে কৃষকদের’’
কিন্তু, পঞ্জাবের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে সিধু তো বর্তমানে নিরাপত্তা পেয়েই থাকেন, তাহলে এই দাবি কেন? সুরযেওয়ালার দাবি, মন্ত্রী হিসাবে সিধুকে যথাযোগ্য নিরাপত্তা দেয় পঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন সিধু। অথচ রাজ্যের বাইরে পঞ্জাব পুলিশের পক্ষে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না। সে জন্যই বিশেষত রাজ্যের বাইরে সিধুর সিআইএসএফ নিরাপত্তা প্রয়োজন বলে দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের চিঠিতে।
সিধুকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে পঞ্জাবের পূর্বতন শিরোমণি অকালি দল-বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন সুরযেওয়ালা। তাঁর দাবি, 'দুর্ভাগ্যবশত' সিধুর বিরুদ্ধে কতগুলি হুমকি রয়েছে, সেসব হিসাব না করে কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এই সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হওয়ার পর ফের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল এই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।
আরও পড়ুন- ‘লোকে এক বছরে পুত্রশোক কাটিয়ে ওঠে, কংগ্রেস দু’বছরেও নোট বাতিল ভুলল না’
এই প্রেক্ষাপটে রাজনাথ সিং-কে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, "রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং বৈরিতা ভুলে যে ব্যক্তি সঙ্কটে রয়েছেন তাঁকে সিআইএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া আপনার মন্ত্রকের পবিত্র কর্তব্য"।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ মূলত বিমানবন্দর-সহ কেন্দ্রীয় সরকারি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রগুলির সুরক্ষার দায়িত্বে থাকে। কিন্তু, ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর পরামর্শে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করে সিআইএসএফ। তবে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যদি মনে করে যে সেই ব্যক্তির নিরাপত্তা জনিত আশঙ্কা যথাযথ তবেই সিআইএসএফ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তার দায় গ্রহণ করে।
Read the full story in English