উৎসবের মরসুমে শিকেয় উঠেছে করোনাবিধি। পার্ক স্ট্রিট থেকে সর্বত্র- মুখে মাস্কহীনদের ভিড়, যত্রতত্র জমায়েত, উধাও দূরত্ববিধি। যার পরিণতি বাংলায় গত ৬ দিনে হু হু করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। কলকাতার আক্রান্তের দৈনিক হার উদ্বেগজনক। এই অবস্থার জন্য তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে নবান্নকেই দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সংক্রমণের গতি রুখতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন। সম্ভব সোমবার থেকেই কার্যক হতে পারে কড়া বিধিনিষ। রবিবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে এই নিয়ে বৈঠকও চলছে। তার মাঝেই বোমা ফাটালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'নবান্নর জন্য বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। ‘ক্রিসমাস, ইংরেজি নববর্ষ উৎসব পালিত হয়েছে। পালিত হয়েছে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের উৎসব। বিপর্যয় ও বেহাল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সর্বদাই এগিয়ে বাংলা। বিধিনিষেধের ফলে শেষ পর্যন্ত ভুগতে হবে মানুষকেই।'
বিরোধী দলনেতার দাবিকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, 'অসত্য দাবি করছেন শুভেন্দু। হঠাৎ করে বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় না। বিবেচনা না করে পদক্ষেপ করলে গরীব মানুষদের শোচনীয় অবস্থা হবে। বিজেপি এসব ভাবে না। তাই দুম করে লকাউন জারি হয়েছিল। আমার প্রশ্ন কেন তাহলে বিজেপি শাসিত রাজ্যে করোনা হচ্ছে?'
শুধু উৎসবের ভিড় নয়, চলছে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সহ নানা স্তরের জমায়েত। গতকালই ডায়মন্ড হারবার কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। হাজির ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে থিকথিকে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফলে মানুষের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে ভিড় এড়াতে এর আগে কড়া বিধিনিষেধ জারির পক্ষেই সাওয়াল করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আসন্ন চার পুরনিগমের ভোটের দিনও বিশেষজ্ঞজের সঙ্গে কথা বলে পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছিলেন তিনি। সেদিনও বিরোধী দলনেতা বাংলায় করোনার প্রকোপের জন্য রাজ্য প্রসাসনকে দায়ী করেছিলেন।
আরও পড়ুন- সোমবার থেকেই বঙ্গে জারি বিধিনিষেধ? ঘোষণা সম্ভবত আজই