রাজ্যে প্রতিদিনই সব রেকর্ড চুরমার করে দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়াচ্ছে নভেল করোনাভাইরাস। সেই আবহে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে ফের রাজ্যে 'কঠোর' লকডাউন বিধি জারি করল মমতা সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী শিবির। কেন্দ্রের নির্দেশানুসারে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকার কথা ছিল, তবে কী কোথাও সেই বিধি মানা হয়নি? এমন প্রশ্নই তুলল বিজেপি-সিপিআইএম।
প্রসঙ্গত, ২৯ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে পরিস্কার জানান হয় যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কনটেনমেন্ট এলাকায় আনলক পর্যায়েও কঠোর লকডাউন বিধি মানতে হবে। নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছিল যে আপৎকালীন পরিষেবা ছাড়া এই সকল এলাকায় কোনওরকম যাতায়াত এবং পরিষেবা চালু রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন, বাংলার কনটেনমেন্ট জোনে ৭ দিনের কড়া লকডাউন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বুধবার ফের কনটেনমেন্ট এলাকাগুলিতে পুরোনো লকডাউন বিধি ফের জারি করতেই প্রশ্ন তুললেন সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "কনটেনমেন্ট জোন এমন একটি জায়গা যেখানে লকডাউন থাকারই কথা। তাহলে এর অর্থ কি এই যে বাংলার কনটেন্টমেন্ট জোনে কোনও বাধা ছিল না? লকডাউনের কোনও নিয়মই মানা হয়নি সেখানে? যদি তা না হয়, তবে রাজ্য সরকার কেন আবার কনটেন্টমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন কঠোর করার নির্দেশ দিচ্ছে? ”
আরও পড়ুন, ‘সিপিএম আমলে ১০০ শতাংশ চুরি হত, এখন ৯০ শতাংশ কমেছে’
প্রসঙ্গত আগামী সাত দিনের জন্য রাজ্যজুড়ে চলবে এই নয়া লকডাউন বিধি। এ প্রসঙ্গে মমতাকে বিঁধে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, “অপরিকল্পিতভাবে কাজ করার প্রবণতা রয়েছে রাজ্য সরকারের। যখন কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর ছিল, সরকার মিষ্টির দোকান এবং চায়ের দোকানগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছিল। এখন আবার বৃহস্পতিবার থেকে অপরিকল্পিত লকডাউন আরোপ করা হয়েছে যার কারণে কেবল সাধারণ মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ” ।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন