নিয়ম অনুযায়ী কলেজগুলোতে এখন আর ছাত্র সংসদ নেই। আর এর আগে এসএফআইয়ের দখলে ছিল রাজ্যের মাত্র ১১টি কলেজের ছাত্র সংসদ। এছাড়া ছিল একমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ক্ষমতা। প্রেসিডেন্সিতে শেষবার এই বাম ছাত্র সংগঠন জয় পেয়েছে ২০১০-১১তে। এখনও সংগঠন রয়েছে সেখানে, তবে খানিক মিইয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ছাত্ররা ব্রিগেডমুখী হবে কী না, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। কিন্তু এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য আশাবাদী, এবারের ব্রিগেডে সব থেকে বেশি ভিড় করবেন ছাত্র-যুবরাই।
কী বলছেন সৃজন? এই তরুণ নেতার দাবি, "অন্যান্য যে কোনও ব্রিগেডের থেকে এই ব্রিগেডে অনেক বেশি ছাত্র-যুব ভিড় করবে। আমরা প্রচার করতে গিয়ে দেখেছি, মানুষ নিজে থেকে বলছেন, আমরা যাব। সাধারণ মানুষ দুই সরকারের কাজেই হতাশ। এটাও হয়তো ঠিক, যে সেই লোকগুলো পরের দিন থেকেই সিপিএমের মিছিলে হাঁটবেন না। তবে ছাত্র-যুবর একটা বড় অংশ ব্রিগেডে আসবে।"
আরও পড়ুন, সিপিএম-এর ব্রিগেড মঞ্চের কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ
কোন যুক্তিতে মনে হচ্ছে ছাত্র-যুবরা ব্রিগেড ভরাবেন? সৃজনের মতে, "পড়াশোনার খরচ যোগাতে হিমসিম খাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। তার ওপর মোদী বা মমতা, কোনও সরকারই বেকারদের চাকরি দিতে পারছে না। দেশে বেকারত্ব চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের জন্য দু'হাজার টাকার ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। অন্য দিকে গবেষণা করার জন্য টাকা পাঠাচ্ছে না মোদী সরকার। এর ওপর তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ তো আছেই। এসবের প্রতিবাদ করতেই বামেদের ব্রিগেডে আসবে ছাত্র-যুবরা।"
প্রচার কেমন হয়েছে? কোথাও বাধা পেয়েছেন?এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক বলেন, "কলেজ ক্যাম্পাসে তৃণমূলের ভয়ে অনেকেই কথা বলতে পারছে না। ক্যাম্পাসের ভিতরে সেভাবে প্রচারও করা যায় না। তবে পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলছে। আপামর বামপন্থীদের ব্রিগেডে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। প্রতিবাদ করলে বাধা তো আসবেই। আমি নিজে বাধা পেয়েছি। ২৮ জানুয়ারি নদিয়ায় ব্রিগেডের প্রচার করতে গিয়ে আমি মার খেয়েছি।"
আরও পড়ুন, ব্রিগেডের সভা ভরাতে শরিকদের ওপর তেমন ভরসা করছে না সিপিএম
এসএফআইয়ের মত রাজ্য ডিওয়াইএফআই-ও মনে করছে, এবার ব্রিগেডে ছাত্রদের পাশাপাশি যুবরা ভিড় করবেন। যুবদের যোগদান কতটা আশা করছেন? যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "ব্রিগেডে এবার যুবদের ভিড় বেশি থাকবে। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফলে সবথেকে অসুবিধায় পড়েছেন যুবরা। এসএসসি পরীক্ষা বন্ধ। কারখানা বন্ধ। বন্ধ কারখানা এখনও খুলতে পারেনি সরকার। কোনও নতুন কারখানাও হয়নি। রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় ইন্টার্নশিপ নীতি ঘোষণা করেছে। পিএসসি ও এসএসসি নিয়োগ করতে পারছে না। প্রচারে বাধা তো দিচ্ছেই। মানুষের ইস্যু তুলতে গেলেই মারধর করছে তৃণমূল।"