পরিবর্তনের সরকারের আবির্ভাবের পর থেকেই যত দিন যাচ্ছে, ততই অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাম বাহিনীকে। কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এ রাজ্যের পূর্বতন শাসক দল। লোকসভা ভোটের আগে এবার দলীয় নেতার দলত্যাগ চাপে ফেলছে বামেদের। মুর্শিদাবাদের সিপিএম নেতার তৃণমূলে যোগদানে স্বভাবতই বিড়ম্বনায় পড়তে হল রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বকে। নবগ্রামের দু’বারের সিপিএম বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দিলেন। যে ঘটনার জন্য তৃণমূলের পেশী শক্তিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে সিপিএম নেতৃত্ব।
রবিবার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতেই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কানাইচন্দ্র মণ্ডল। এদিন কানাইবাবুর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, "একজন বিধায়ক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওঁর। আশা করব, উনি যোগ দেওয়ায় উন্নয়নমূলক কাজে দল আরও এগিয়ে যাবে।"
আরও পড়ুন: আমি বিজেপির সদস্য নই: রথযাত্রা কর্মসূচির আগে বিস্ফোরক কুমার শানু
অন্যদিকে, তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "জনগণের জন্য কাজ করতে চাই, তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম। রাজ্য সরকারের সমর্থন ছাড়া জনসাধারণের জন্য কাজ করতে পারতাম না। আমার এলাকার বাসিন্দাদের জন্য আরও অনেক কাজ করতে চাই।" উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিপিএমের টিকিটে নবগ্রাম কেন্দ্রে জয়ী হন কানাইবাবু। এরপর ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও জয়ী হন তিনি।
কানাইবাবুর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। তিনি বলেছেন, "এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। শুভেন্দু অধিকারী এসব কাজ করছেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার জন্যই ওঁর দল ওঁকে পাঠিয়েছে এখানে। ওরা পেশী শক্তি প্রদর্শন করে ভয় দেখাচ্ছে। একারণেই অনেক বিরোধী নেতাই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।"
Read the full story in English