/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/09/Ajit-Pawar.jpg)
অজিত পাওয়ার
দলের জাতীয় সম্মেলন চলছে। আর, সেখানে অনুপস্থিত প্রবীণ নেতা অজিত পাওয়ার। যিনি আবার দলেরই শীর্ষ নেতা শরদ পাওয়ারের ভাইপো। অজিত পাওয়ারের এই অনুপস্থিতি এনসিপি তথা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে স্বভাবতই জন্ম দিয়েছে নতুন জল্পনা। সবচেয়ে বড় কথা সম্মেলনে অজিত পাওয়ারের এক বিশেষ বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনের মধ্যেই অজিতের সেই বক্তৃতার জন্য অপেক্ষাও করেন শরদ পাওয়ার। কিন্তু, অজিত সম্মেলনে যোগও দেননি। আর, সেই বক্তৃতাও দেননি।
দলের মধ্যে থেকেই অজিতের বিদ্রোহের প্রবণতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। শপথও নিয়ে নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে। সেই স্মৃতি আজও এনসিপির অনেক নেতার মনেই তরতাজা। দলের মধ্যে অজিত বারবারই নিজেকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। যার জন্য তাঁর সঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিলের মনকষাকষির ইতিহাস দীর্ঘদিনের। যা থামাতে বারবার রীতিমতো হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে।
আরও পড়ুন- মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পর্কে ফেসবুকে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে মহিলা
এবারের ঘটনাটি আরও একটি কারণে উল্লেখযোগ্য। সম্মেলনে পাটিল মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই অজিত পাওয়ার মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। অজিত অবশ্য পরে দাবি করেছেন, তিনি টয়লেটে গিয়েছিলেন। তারপর যখন টয়লেট থেকে বের হন, হাতে সময় কম ছিল। সেই কারণে আর মঞ্চে ফেরেননি। তাঁর এই অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনাকে তিনি নিজেই যে বিশেষ বাড়তে দিতে রাজি নন, তা-ও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন অজিত পাওয়ার। এই প্রসঙ্গে অজিতের মন্তব্য, 'এনসিপি আমাকে অনেক দিয়েছে। এই ছোট ঘটনা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।'
রাজনৈতিক মহলের একাংশের অবশ্য দাবি, অজিতের এই বিদ্রোহী আচরণে আশার আলো দেখছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে একনাথ শিণ্ডে তাঁর সঙ্গে দর কষাকষি করেছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যস্থতায় তার জেরে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েই থাকতে হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে। এটা বিজেপি এবং ফড়ণবিশ- কেউই খোলা মনে নেয়নি। তাই এবার অজিত পাওয়ারকে ভাঙিয়ে এনে শিণ্ডেকে চাপে রাখতে মরিয়া ফড়ণবিশ ও বিজেপি। যাতে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে শিণ্ডে কোনওমতে দরকষাকষির অবস্থায় না-থাকতে পারেন। অজিতের গোঁসায় তাই বিজেপির হাত খুঁজে পাচ্ছেন এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।
Read full story in English