দল ছাড়লেন বিজেপি নেত্রী সাবিত্রী বাই ফুলে। উত্তরপ্রদেশের এই সাংসদের অভিযোগ, বিজেপি সমাজে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে।
বাহারাইচের সাংসদ তথা দলিত নেত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রে এবং রাজ্যে বিজেপি সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন। তিনি বলেছেন সংবিধানকে আক্ষরিক ভেবে ও মর্মবস্তুতে প্রয়োগ করাই তাঁর লক্ষ্য। লখনউয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি দল থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কিন্তু মেয়াদ থাকা পর্যন্ত সাংসদ হিসেবে আমি কাজ চালিয়ে যাব।’’
আরও পড়ুন, কোচবিহারে দিলীপ ঘোষের গাড়ির ওপর হামলা, উত্তপ্ত শহর
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্কিত স্থানে বিজেপি-র মন্দির গড়ার প্রকল্পের বিরুদ্ধাচরণ করে বলেছেন, ‘‘দেশের প্রয়োজন সংবিধান, মন্দির নয়।’’
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে দলিতদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন সাবিত্রী ফুলে।
গত মঙ্গলবার বিজেপি-র এই দলিত নেত্রী বলেন, ‘‘ভগবান হনুমান দলিত ছিলেন, ছিলেন মনুবাদীদের দাস। তিনি একজন মানুষ ছিলেন এবং দলিত ছিলেন। ভগবান রামচন্দ্রের জন্য সমস্ত কিছু করার পরে তাঁর মুখ কালো করে তাঁকে ল্যাজ দেওয়া হয়ে। ওঁকে বাঁদর বানানোর কী প্রয়োজন ছিল? ভগবান রামচন্দ্রের জন্য সমস্ত কিছু করার পরে, তাঁকে বানর না বানিয়ে মানুষ বানানো যেতেই পারত। সে সময়েও দলিত হওয়ার কারণে তিনি লাঞ্ছিত হয়েছেন। আমরা দলিতরা কেন মানুষের মর্যাদা পাব না?’’
এর আগে বিজেপি নেতাদের দলিতদের বাড়িতে অন্নগ্রহণের কর্মসূচি নিয়েও প্রশন তুলেছেন সাবিত্রী। এ ছাড়া পাকিস্তানের স্রষ্টা মহম্মদ আলি জিন্নাহকে মহাপুরুষ আখ্যা দিয়ে দলের অস্বস্তিও বাড়িয়েছিলেন তিনি।
Read the Full Story in English