বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। গত ১১ অগাস্ট মেয়ো রোডে বিজেপি যুব মোর্চা আয়োজিত জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে হাজির ছিলেন অমিত শাহ। তিনি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভাইপো অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্য়া ও মনগড়া মন্তব্য় করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। ১৩ অগাস্ট অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতিকে। ওই নোটিশে তাঁকে নিশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। অন্য়থায় আইনানুগ ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে শাহের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন অভিষেকের আইনজীবী। ১১ অগাস্ট শাহ বলেছিলেন, "মমতাদির রাজত্বে সারদা, নারদা, সিন্ডিকেট চলছে। সিন্ডিকেটের দুর্নীতির সঙ্গে ভাইপোও রয়েছেন।" অমিত শাহর এই বক্তব্য়ে তোলপাড় হয়েছে রাজনৈতিক মহল। সেদিন ওই জনসভার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শাহের কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল। নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তারপর ১৩ অগাস্ট অভিষেকের তরফ থেকে আইনি নোটিশে ৭২ ঘণ্টার মধ্য়ে শাহকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। তা নাহলে মামলা করা হবে বলে নোটিশে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিজেপির পক্ষে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। কথামত এদিন আদালতে মানহানি মামলা করেন অভিষেকের আইনজীবী। এর আগে বিশ্ব বাংলা নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতেও মামলা করেছিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেওয়া হবে, সিবিআই তদন্ত নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় ক্ষোভ মমতার
উত্তর কলকাতা তৃণমূল যুবর কার্যকরী সভাপতি সৌম্য় বক্সী বলেন, "১১ অগাস্ট অমিত শাহ যে মন্তব্য় করেছেন তাতে সম্মানহানি হয়েছে আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। আইনি নোটিশ পাঠালেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।" এই মামলায় সাক্ষী হিসাবে রয়েছেন সৌম্য় বক্সী ও স্বরূপ বিশ্বাস। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নগর দায়রা আদালতে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। এই আইনি লড়াই আদতে আদালতে হলেও এটা পরিষ্কার, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তৃণমূলের টার্গেট ৪২-এ ৪২ এবং বিজেপির লক্ষ্য় ৪২-এ ২২। এসব তারই খন্ডচিত্র।