১৬ই ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রামলীলা ময়দানে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। বুধবার দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজালের সঙ্গে বৈঠকে শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ জানিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকালেই নির্বাচিত বিধায়করা কেজরিওয়ালকে তাদের নেতা বলে মনোনিত করেছেন।
দিল্লির রামলীল ময়দান নানাভাবে ঐতিহাসিক সভার সাক্ষী। এই ময়দানেই কয়েক বছর আগে সমাজকর্মী আন্না হাজারের সঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন কেজরি। আবার গত ডিসেম্বরেই এই মাঠেই সভা করে দিল্লির ভোট প্রচার শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে বিরোধীদের তুলোধনা করেছিলেন তিনি। সেবারই মোদী ঘোষণা করেন যে, তাঁর মন্ত্রিসভায় এনআরসি নিয়ে কোনও রকম আলোচনাই হয়নি। দিল্লির ভোটে ঝাড়ু ঝড়ে ধরাশায়ী বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে আগামী রবিবার রামলীলাতে আপের সাফল্যের কাণ্ডারি কেজরির শপথও তাই এক অর্থে ঐতিহাসিকই।
আরও পড়ুন: পিকে ম্যাজিকেই ফের বাজিমাত, দিল্লির মসনদে কেজরিই
কেজরিওয়ালের শপথ জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথে বিজেপি বিরোধী দলগুলোর শক্তি প্রদর্শন দেখা গিয়েছে। তারই কী প্রতিফলন ঘটবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্টানেও? যা ঘিরেই এখন নানা জল্পনা দানা বাঁধছে। আপ সূত্রে খবর, বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস-সহ বিরোধী সব দলের নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমন্ত্রণের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিজেপি বিরোধী দলের প্রধানরা।
মঙ্গলবার প্রকাশ পেয়েছে দিল্লি বিদানসবা ভোটের ফল। মোট ৭০ আসনের মধ্যে আপ পেয়েছে ৬২ আসন। মোদী-শাহের দিল্লি দখলের স্বপ্ন কার্যত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বিজেপির আসন সংখ্যা ৮। একটিও আসন না মেলায় অস্তিত্ব বিপন্ন কংগ্রেসের।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন