শনিবার অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোটদানের হার ছিল ৬২.৫৯ শতাংশ। রবিবার রাতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে অনেকটা সময় লেগেছে, এই দাবি করে কমিশনের তরফে জানানো হয় যে চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায় তথ্যের সত্যতা।
বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি, জানিয়েছে কমিশন। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোটদানের হার ছিল ৬৭.৪৭ শতাংশ। দিল্লির মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রণবীর সিং বলেন, "সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বাল্লিমারানে, ৭১.৫৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম ছিল দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়, ৪৫.৩৬ শতাংশ।"
এর একদিন আগে বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় দেখা যায়, দিল্লিতে ফের একবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি। তবে শনিবার বিকেলে নির্বাচনে মোট ভোটদানের হার প্রকাশে দেরি হওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। টুইটারে নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো লেখেন, “একেবারে স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো। ভোট শেষ হওয়ার পর এতগুলো ঘন্টা কেটে গেল, এখনও কেন ভোটদানের হার প্রকাশ করছে না ওরা?”
আরও পড়ুন: এখনও জানা গেল না দিল্লিতে ভোটদানের হার, ইসি-র ভূমিকায় ‘স্তম্ভিত’ কেজরি
মোট ৭০টি আসন-বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় ৫০টির বেশি আসন পাবে আম আদমি পার্টি, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন অধিকাংশ নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও মনে করা হচ্ছে, অন্তত ২০টি আসন পেয়ে নিজেদের অবস্থান আরেকটু মজবুত করবে বিজেপি, এবং কংগ্রেসের ভাগ্যে জুটবে সম্ভবত শূন্য। উল্লেখ্য, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শহরের মধ্যে অবস্থিত দেওলি, আম্বেদকর নগর, সীমাপুরি, সঙ্গম বিহারের মতো কেন্দ্রগুলিই আসন সংখ্যা এবং ভোটদানের হারের নিরিখে আম আদমি পার্টির দিক নির্দেশ করে।
ওখলা কেন্দ্রের আওতায় পড়ে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু শাহিনবাগ, যেখানে ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সিএএ-বিরোধী ধর্নায় বসে রয়েছেন অসংখ্য মহিলা। এই কেন্দ্রে এবার ভোটদানের হার ছিল ৫৮.৮ শতাংশ, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও সমগ্র দিল্লিতে পুরুষরা ভোট দিয়েছেন ৬২.৬২ শতাংশ হারে, এবং মহিলারা ৬২.৫৫ শতাংশ হারে, বলে জানানো হয়েছে।