অ্যাম্বুল্যান্সের পথ আটকে চরম বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে নদিয়ার কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু কে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন দিলীপের বিরুদ্ধে? এ নিয়েই তৈরি হল ধোঁয়াশা। অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগীর পরিবারের তরফেই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এদিকে, রোগীর পরিবারের দাবি, ‘‘আমরা কোনও অভিযোগ জানাইনি। কয়েকজন এসে সাদা কাগজে আমাদের টিপ সই নিয়ে গিয়েছেন’’। ফলে, তৃণমূলের চক্রান্তেই পুলিশ দিলীপের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে দাবি পদ্মবাহিনীর। তবে অ্যাম্বুল্যান্সকাণ্ডে দিলীপের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নয়া মোড় নিয়েছে এই ঘটনা।
দিলীপের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
জানা গিয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে কালেক্টর মোড়ে সিএএ-র সমর্থনে সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন দিলীপ বক্তৃতা দিচ্ছেন, সে সময়ই ওই পথ দিয়ে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালের দিকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে যাচ্ছিলেন ধুবুলিয়ার হরিণডাঙার এক প্রসূতি ও তাঁর পরিজনরা। অ্যাম্বুল্যান্স দেখে দিলীপ ঘোষ মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সকে ঘুরিয়ে দিন। অন্য রাস্তা দিয়ে পাঠান। সব রাস্তা খালি আছে, ঘুরিয়ে নিতে বলুন। ১০ হাজার লোক বসে আছে, আর অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে দিল! আর কোনও রাস্তা নেই! নাটক করা হচ্ছে? যারা হেরে যায়, তারা খেলা ভেস্তে দেয়, তাই না?’’ দিলীপের এই মন্তব্যের ভিডিও সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়। অ্যাম্বুল্যান্সের মতো জরুরি পরিষেবাকে একজন রাজনৈতিক দলের নেতা তথা সাংসদ কীভাবে উপেক্ষা করলেন, সে নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। যদিও এখনও এ প্রসঙ্গে দিলীপের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: ‘একুশে বাংলায় বিজেপি ২০০, তৃণমূল ৫০টি আসনও পাবে না’
9, 2020
ভিডিও: মৌলিক কান্তি মণ্ডল।
এদিকে, এ ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, ‘‘পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা করার পরেও পুলিশই ইচ্ছাকৃত অ্যাম্বুল্যান্সকে ওই রাস্তায় পাঠিয়েছিল। রোগী বা রোগীর পরিবার ও অ্যাম্বুল্যান্স চালক এ বিষয়ে কোনও অভিযোগই করেননি। পুলিশের কাছে কে অভিযোগ করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তৃণমূলের নির্দেশে দিলীপ ঘোষকে হেনস্থা করার উদ্যেশেই পুলিশ উদেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে’’। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।