আবারও বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। ‘জেলে না গেলে বড় নেতা হওয়া যায় না’, দলের কর্মীদের উদ্দেশে এবার এমন বার্তাই দিয়ে নয়া বিতর্ক বাধালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরে গান্ধী ঘাটে গিয়ে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর দাওয়াই দিতে গিয়ে দিলীপ আরও বলেন, ‘‘এমন কিছু করুন, যাতে জেলে যেতে পারেন’’। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই ‘গুলি করে মারার’ নিদান দিয়ে সমাজের সর্বস্তরে নিন্দিত হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই দিলীপের এই মন্তব্য নয়া মাত্রা এনে দিল বলেই বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
দলের কর্মীদের উদ্দেশে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যদি আপনি জেলে না যান, তাহলে নেতা হতে পারবেন না। যদি আপনাকে পুলিশ গ্রেফতার না করে, তাহলে এমন কিছু করুন, যাতে জেলে যেতে পারবেন। তাহলেই আপনাকে মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখবে। রাজনীতিতে নরম মনোভাবাপন্ন মানুষের জায়গা নেই’’।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির এই ৫ মুখেই ভরসা রাখছেন মোদী-শাহরা
এ প্রসঙ্গে দিলীপকে পাল্টা নিশানা করে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওঁর কথা কেউ আজকাল সিরিয়াসলি নেন না। উনি যদি এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত না হন, তাহলে আমাদেরই ভাল। মানুষ ওঁদের আসল স্বরূপটা দেখতে পাবেন।
উল্লখ্য, কিছুদিন আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘ঝামেলা না হলে রাজনীতি হয় নাকি! হয় ওরা করবে, না হয় আমরা করব। এটাই তো বাংলার রাজনীতি...বাংলায় ভোট হলে ঝুট-ঝামেলা হবে’’। এরপর সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন দিলীপ। এই মন্তব্যের জন্য দলের অন্দরেই নিন্দিত হতে হয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। তবুও দিলীপ আছেন দিলীপেই। বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশকে কুকথা বলতেও ছাড়েননি তিনি।
আরও পড়ুন: মুকুলের জন্য আসতে পারে বড় সুখবর, জল্পনা বিজেপিতে
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার পাটুলি থেকে বাঘাযতীন পর্যন্ত সিএএ সমর্থনে মিছিলে হাঁটেন দিলীপ ঘোষ। সে সময়ই সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এক তরুণী। ওই তরুণীর পোস্টার ছিঁড়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। এ ঘটনায় ওই তরুণীকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ওঁর ভাগ্য ভাল যে শুধু পোস্টার কেড়ে ছেড়ে দিয়েছে। আর তো কিছু করেনি। ওঁর চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য ভাল”। এ মন্তব্য ঘিরেও দিনভর সমালোচনায় মুখর হয় বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে সোচ্চার হয়েছে বাম-কংগ্রেস।
Read the full story in English