দিলীপ ঘোষ আছেন দিলীপ ঘোষেই! যতই বিতর্ক-সমালোচনা হোক না কেন তিনি যে নিজের অবস্থানেই অনড়, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ‘আমি কুকথাই সবসময় বলি’, এ ভাষাতেই বিতর্কের জবাব দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়ে তুমুল বিতর্ক বাধিয়েছেন দিলীপ। ক’দিন আগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ‘ননসেন্স’ ও ‘নেমোকহারাম’ বলে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন দিলীপ। এদিকে, দিলীপের দলের নেতারাও কুকথা বলে খবরের শিরোনামে। এই আবহে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এমন অকপট মন্তব্য নয়া মাত্রা এনে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কুকথা প্রসঙ্গে এদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘কারও যদি আমার কুকথা লাগে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি সবসময় কুকথাই বলি’’। এর আগেও নিজের অবস্থানে অনড় মনোভাব দেখিয়েছেন দিলীপ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের কাছে এক সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যারা দেশের সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাদের উপর গুলি চালানো উচিত বলেছিলাম। উচিত নয়? যারা দেশের শত্রু, দেশের সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদের গুলি করে মারা উচিত’’। এদিকে, কিছুদিন আগে দিলীপ এও বলেন যে, ‘‘যাঁদের বাবা-মায়ের ঠিক নেই, তাঁরাই সিএএ বিরোধিতা করছেন’’।
আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষকে খাঁচায় ভরে রাখা হবে’
কুকথা নিয়ে কী বললেন দিলীপ ঘোষ? #DilipGhosh pic.twitter.com/vEDWQPNTUq
— indianexpress bangla (@iebengali) January 21, 2020
ভিডিও: সৌমিত্র সান্যাল।
অন্যদিকে, সিএএ বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘কুকুর শব্দে আপত্তি থাকলে বাঁদর বলতে পারেন। যাঁরা কা কা (সিএএ) করেছিলেন, তাঁরা সকলে ৫০০ টাকা করে পেয়েছিলেন’’। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারও বুদ্ধিজীবীদের নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মমতার সঙ্গে যেসব বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, তাঁরা ধান্দাজীবী’’। এর আগে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “যে বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী মনে করেন অথচ কামদুনির মতো ঘটনার বেলায় চুপ থাকেন বা পার্কস্ট্রিটকাণ্ডে চুপ থাকেন, তেহট্টে বোমাবর্ষণের সময়ে চুপ থাকেন, তাঁরা তৃণমূলের কুকুর ছাড়া কিচ্ছু না। যেমন বলা হত ‘তেজোর কুকুর’, যেমন সেটা দেশব্যাপী নয় বিশ্বব্যাপী জানত। তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুত্তা এই বুদ্ধিজীবীরা, যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। তাঁরা কি জানেন না বিল-এ এটার সম্বন্ধে কী লেখা আছে? তাঁরা জেনেও ন্যাকামি করছেন। তাই তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুত্তা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। তাঁরা ন্যাকাজীবী। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের কুকুর’’। এ প্রসঙ্গে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘কয়েকজন বিজেপি নেতাদের এতই ঔদ্ধত্য যে তাঁরা কী বলছেন জানেন না’’।