বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে? দিলীপ ঘোষেরই কি প্রত্যাবর্তন ঘটছে? এই জল্পনায় যখন বুঁদ গেরুয়া শিবির, তখন তাতে আরও জল-হাওয়া জোগালেন স্বয়ং দিলীপই। বৃহস্পতিবারই বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। এমন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বুধবার বর্তমান বিজেপি রাজ্য সভাপতির ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী সভাপতি হিসেবে আমায় আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায় কিনা সেটা দলের ব্যাপার’’।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, ‘‘গতবার অমিত শাহ আমার নাম ঘোষণা করেছিলেন আমার মতামত না নিয়েই। প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেছি। ৩ বছর সময় দিয়েছিলেন আমায়। এক বছর বোনাস পেয়েছি। ৪ বছর হয়ে গিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী সভাপতি হিসেবে আমায় আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায় কিনা সেটা দলের ব্যাপার’’। দিলীপ আরও বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দিয়ে বলা হয়েছিল, সই করে দিয়েছি। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এটা। একে আমরা সংগঠন পর্ব বলেছি। কিছুদিন আগে সর্বভারতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকের সহকারী কিরেণ রিজিজু এসেছিলেন, সব কাগজপত্র দেখে গিয়েছেন। আমাদের এখানে এই প্রক্রিয়া দেখছেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়’’।
আরও পড়ুন: ‘মোদীর হাতে তির ধরান ধনকড়, যাকে ইচ্ছে উড়িয়ে দেবে’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপ ঘোষ জানান, ‘‘এটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হয়। প্রত্যেক বিধানসভায় একজন করে প্রদেশ পরিষদের সদস্য ও জেলা সভাপতিরা থাকবেন, কাল নির্বাচন করবেন। বেশিরভাগ যা চাইবেন তাই হবে। সকলের সঙ্গে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’’।
আরও পড়ুন: বড় বিপাকে দিলীপ ঘোষ, থানায় এফআইআর দায়ের তৃণমূলের
উল্লেখ্য, বিজেপি রাজ্য সভাপতির কুর্সিতে বসেই একের পর এক সাফল্যের মুখ দেখেছেন দিলীপ ঘোষ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে নজিরবিহীন সাফল্য এর অন্যতম। লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসনে জিতে অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে বিজেপির। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী কাজ করছেন। অনেকে মারা গিয়েছেন। আমি সভাপতি হিসেবে সামনে আছি, নেতৃত্বে আছি ঠিকই। তবে এটা সকলের সাফল্য। সকলে লড়াই করে জিতিয়েছে দলকে’’। এ বিষয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন, ‘‘নেতৃত্ব বিভিন্ন দিক দিয়ে নির্বাচিত হয়। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই দায়িত্ব পালন করেছি’’। তবে, সম্প্রতি দিলীপের "কুকুরের মতো গুলি করে মারার" মন্তব্য রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি। উল্লেখ্য, এর আগেও বহুবার অসতর্ক মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দীর্ঘদিনের এই আরএসএস কর্মী। এছাড়া, রাজ্যের তিন কেন্দ্রে (নিজের কেন্দ্র খড়গপুর সহ) সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার উপনির্বাচনে পদ্ম পার্টির ১০০ শতাংশ বিপর্যয়ও রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপের ব্যর্থতা তুলে ধরেছে বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।