তিনি মুখ খুললেই খবর। মাঝে মধ্যে তাঁর বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। চলে তরজা। রাজ্যের শাসক শিবির তো বটেই। এমনকী তাঁর নিজের দলের ছোট থেকে বড় নেতারাও অস্বস্তিতে পড়েন হামেশাই। এ হেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বিজেপির লেটারহেডে লেখা চিঠিতে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সদর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী অরুণ সিং দিলীপ ঘোষকে চিঠি লিখে সতর্ক করেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশেই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই চিঠিতে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে। তাঁকে সংযত থাকতে বলা হয়েছে। অরুণ সিংয়ের লেখা চিঠিতে উল্লেখ, ‘অতীতে বহুবার আপনাকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। আপনার মন্তব্যে বারংবার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দলের নেতৃত্বের একাশ এই মন্তব্য ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তাই দলের সিদ্ধান্ত যে, আপাতত সংবাদমাধ্যমে আপনি মুখ খুলতে পারবেন না।’

একুশের নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় থেকে দলবদলুদের ভোট প্রার্থী করা নিয়ে সম্প্রতি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কম অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর দল পরিচালনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। এরপরই দিলীপের বিরুদ্ধে দিল্লীতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ অভিযোগ জমা পড়েছিল বলে খবর। যার ভিত্তিতে বঙ্গ বিজেপির এই ‘ডাকাবুকো’ সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল গেরুয়া শিবির। পদ্ম দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও এই চিঠি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চিঠি পাওয়ার পরই জবাব দেবেন তিনি।
এই ইস্যুতে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বিজেপিতে দলবদলুরা এখন মাথা হয়ে বসেছেন। দিলীপ ঘোষের মত আদি বিজেপি ক্রমশ অস্তাচলে যাচ্ছেন। ক্ষোভে, অপমানে দল সম্পর্কে দিলীপদা সত্যি কথা বলে ফেলেন। তাই এই খাড়া নেমে এল।’
আরও পড়ুন- ‘চিঠি দিয়ে রগড়ে দিল’, দিলীপের মুখ বাঁধা পরতেই বেনজির কটাক্ষ বাবুলের