Martyrs Day Rally 2019: ২১ জুলাই তৃণমূলের মেগা সমাবেশ এবার ‘ফ্লপ’ হয়েছে। ‘‘ডিম-ভাত রান্না করা হয়েছে, খাওয়ার লোক নেই। ২ টোর জায়গায় ৪টে ডিমও খেতে হয়েছে। আমাদের বলতে পারত লোক পাঠাতাম, ভিড়ও হত’’, এ ভাষাতেই এবার মমতা বাহিনীকে নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার মমতার ভাষণ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ বলেন, ‘‘রেকর্ড ভিড় হয়েছে! ২৬ বছরে সবচেয়ে কম লোক হয়েছে। তৃণমূলের হাড়-পাঁজর বেরিয়ে পড়েছে। লোক নেই। মমতার ভাষণ শুরু হতেই এলাকা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে’’। অন্যদিকে, এদিন একুশের সভামঞ্চে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেড রোডটাই মনে হচ্ছে ২-৩ লক্ষ লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে যেন আরেকটা ব্রিগেড হচ্ছে’’। তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘মমতার ভাষণ শুনবে বলে জনসমাগম হয়েছে’’। উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এবার অনেকটাই ‘ধাক্কা’ খেয়েছে তৃণমূল। সেই ‘অপ্রত্যাশিত ফলের’ পরই এবারের একুশে জুলাই মমতা বাহিনীর কাছে ছিল কার্যত চ্যালেঞ্জের মতো। সেই প্রেক্ষিতে দিলীপের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতাই, বিধানসভায় আড়াইশোরও বেশি আসন পাবে তৃণমূল’
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘এই সভা সফল হবে না ফ্লপ হবে জানতাম। অসফল হলে, যাতে আমাদের ঘাড়ে না দায় ফেলে, সেজন্য আমরা কিছু করিনি’’। দিলীপ আরও বলেন, ‘‘সভা সফল হবে না বলেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল’’। প্রসঙ্গত, শনিবার তৃণমূলের শহিদ দিবসকে ‘সার্কাস’ বলে কটাক্ষ করে দিলীপ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘‘যেসব তৃণমূল নেতারা কলকাতা রওনা দেবেন, রাস্তায় আটকে আগে কাটমানি আদায় করব, তারপর কলকাতা’’। এই মন্তব্যের পরই কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় দিলীপের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র
অন্যদিকে, ২১ জুলাইয়ের সভায় যাতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যোগ না দিতে পারেন, সেজন্য বিজেপি চক্রান্ত করে ট্রেন বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘জানি না কোথায় ট্রেন আটকানো হয়েছে। বরং বেশি ট্রেন চলেছে’’।