/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/dilip-ghosh-new-2.jpg)
দিলীপ ঘোষ।
আমিই বলেছিলাম, আসামে যদি হয় তাহলে বাংলাতেও এনআরসি হোক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে স্পষ্ট জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার জলপাইগুড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এনআরসির তো প্রশ্নই নেই। কোথায় এনআরসি?’’ দিলীপের এই মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি একথা বলিনি। এনআরসি কবে হবে সেটা তো আলোচনাই হয়নি’’।
এনআরসি নিয়ে কী বললেন দিলীপ ঘোষ? #DilipGhosh#NRCpic.twitter.com/WMCRXAGrD7
— IE Bangla (@ieBangla) December 25, 2019
ভিডিও- সৌমিত্র সান্যাল।
বাংলা-সহ সারা দেশে কি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হবে? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র এই প্রশ্নে দিলীপ এদিন বলেন, ‘‘আমরা বলেছি প্রয়োজন হলে হবে। আমিই বলেছিলাম, আসামে যদি হয় তাহলে বাংলাতেও এনআরসি হোক। কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ হয়েছে। তবে এনআরসি কবে হবে, এ নিয়ে কথাই হয়নি। যখন দরকার হবে তখন নিশ্চয়ই এনআরসি হবে। যদি ৩৭০ হতে পারে, এটা হবে না কেন? আমরা চাই এনআরসি হোক’’। উল্লেখ্য, নেতাজি ইন্ডোরে দিলীপের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘বাংলায় একজনও হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান শরণার্থীদের এনআরসি করে বিতাড়িত করা হবে না। বাংলায় হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে তাড়াব’’।
আরও পড়ুন: সত্যের খাতিরে: এনআরসি-র কথা মোদী অস্বীকার করলেও অমিত শাহরা কিন্তু প্রমাণ রেখে গিয়েছেন
জলপাইগুড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বুধবার বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে বলতে শোনা যায় ‘‘এনআরসির তো প্রশ্নই নেই, এনআরসি কোথায়? আসামে এনআরসি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এর সঙ্গে সরকার বা দলের কোনও লেনদেন নেই। এখানে নাগরিকত্ব আইন পাস হয়েছে’’।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে এ নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ চলেছে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ ঘিরে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার রামলীলা ময়দানের সভা থেকে এনআরসি নিয়ে মোদীর মন্তব্য আরও বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। যদি এনআরসি নিয়ে আলোচনাই না হয়ে থাকে তাহলে কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার এনআরসির হয়ে সওয়াল করছেন, সে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সোচ্চার বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন কারও অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। বিরোধীরা নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য এসব গোলমাল করছে’’।