সংগঠনের অভ্যন্তরে নতুন পুরনো বিবাদের সমাপ্তি চাইছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর জন্য বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও দলের সাংগঠনিক বৈঠকে স্পষ্ট করেন তিনি। সংগঠন বাড়াতে পুরনো ও নবাগতদের একযোগে কাজ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন মেদিনীপুরের সাংসদ। দিলীপ ঘোষের কথায়, 'লোকসভা ভোটে দল সাফল্য পেয়েছে বাংলায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে বিজেপিতে মানুষ যোগ দিচ্ছেন। রাজ্যে কলেবরে বাড়ছে বিজেপি। তাই আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও হৃদয় বড় হওয়া উচিত।'
বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুকুল রায় সহ দলের রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরের বর্তমান বিতর্ক নিয়ে নিজের মত জানান দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: বাংলা-সহ গোটা দেশে এনআরসি চাই, জানাল ভিএইচপি
পদ্ম বাহিনীর রাজ্য সভাপতি বলেন, 'দলে মধ্যে নবাগতদের জন্য কাজের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সংগঠন বড় করতে গেলে অন্য দল থেকে নেতা, কর্মীরা যোগ দেবেন এটাই স্বাভাবিক। তা ভুলে গেলে চলবে না।'
মণিরুল ইসলাম থেকে হালে শোভন-বৈশাখী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাদের ঘিরে বিতর্ক হয়েছে। তাদের দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। লাভপুরের বিধায়ক মণিরুলের আপাতত সাড়া মেলেনি। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও তাঁর বন্ধবীতো বিজেপিতে যোগ্য সম্মান নেই বলে দল ছাড়ারই হুমকি দিয়েছিলেন। ফলে রাজ্য বিজেপির অন্দরে গভীর হয় পুরনো ও নতুনের দ্বন্দ্ব। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে বলেও মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই সংগঠন পোক্ত করতে সাংগঠনিক বৈঠকেই দিলীপ ঘোষের কড়া বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
এছাড়া, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বাংলায় সদস্য অভিযানের কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। ফলে খুশি নেতৃত্ব। আগামী বিধানসভায় বাংলা জয়ে আশার আলো দেখছে পদ্ম শিবির।
চন্দযান-২ সফলতা পায়নি। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, 'কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া দেশের স্বার্থ ও জাতির ইচ্ছার পরিপন্থী।'
Read the full story in English